ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক এটিএম আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে। বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল মতিন ২০১৬ সালে উক্ত স্কুলের প্রধানশিক্ষক পদে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছেন এমন অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরে ফেসবুকে লেখা প্রকাশ হয়ে আসছে। বিষয়টি গত ২৩ নভেম্বর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উঠলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর গত ৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের ১৬জন শিক্ষক-কর্মচারী (সকল শিক্ষক-কর্মচারী) প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।

অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, প্রধানশিক্ষক বিভিন্নভাবে বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ২১ হাজার ১৭৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এবং শিক্ষক- কর্মচারীদের সঙ্গে কারণে-অকারণে সব সময়ই খারাপ আচরণ করছেন। এরপর গত ৯ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিনের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে রামকৃষ্ণপর গার্লস স্কুল, রামকৃষ্ণপুর কেকে আরকে উচ্চ বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, কর্মচারী, এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, তদন্তে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে। আমরা তদন্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত করতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। প্রধানশিক্ষক আবদুল মতিন বলেন, আমি নির্দোষ, একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার আমি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

হোমনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:০৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক এটিএম আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে। বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল মতিন ২০১৬ সালে উক্ত স্কুলের প্রধানশিক্ষক পদে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছেন এমন অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরে ফেসবুকে লেখা প্রকাশ হয়ে আসছে। বিষয়টি গত ২৩ নভেম্বর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উঠলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর গত ৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের ১৬জন শিক্ষক-কর্মচারী (সকল শিক্ষক-কর্মচারী) প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।

অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, প্রধানশিক্ষক বিভিন্নভাবে বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ২১ হাজার ১৭৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এবং শিক্ষক- কর্মচারীদের সঙ্গে কারণে-অকারণে সব সময়ই খারাপ আচরণ করছেন। এরপর গত ৯ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিনের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে রামকৃষ্ণপর গার্লস স্কুল, রামকৃষ্ণপুর কেকে আরকে উচ্চ বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, কর্মচারী, এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, তদন্তে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে। আমরা তদন্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত করতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। প্রধানশিক্ষক আবদুল মতিন বলেন, আমি নির্দোষ, একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার আমি।