মো. তপন সরকার, হোমনা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার হোমনায় বাবলু নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবিতে এলোপাতারী কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার করেছে একদল সন্ত্রাসী। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের মধ্যকান্দিতে।

নিহত বাবলু হোসেন (৩৭) মধ্যকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ মোক্তারের ছেলে।

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌর সভার মধ্যকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ মোক্তারের ছেলে মো. বাবলু হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু ব্যবসা করে আসছে। মাস খানেক পূর্বে উপজেলার মীরশিকারী গ্রামের মৃত ইঞ্জিঃ আব্দুল লতিফ এর ছেলে মো. বায়জিদের জমি ক্রয় করে অন্যত্র মাটি ভরাটের জন্য চুক্তি করে বালু ব্যবসায়ী মো. বাবলু হোসেন। এ নিয়ে কয়েকদিন পূর্বে জলিল আমিন তার ছেলে রাসেল ও শরিফসহ ভারাটে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে মাটি ভরাটে বাধা দেয় এবং বাবলুর ড্রেজার চালককে পিটিয়ে আহত করে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার আশ্বাস দিলেও দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হোমনা–ঘারমোড়া সড়কের মধ্যকান্দি গ্রামের আমতলা রাস্তায় বাবলু হোসেনকে একা পেয়ে চাঁদা দাবি করে এসময় সে তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় জলিল আমিন, তার ছেলে দাগী সন্ত্রাসী শরিফ ও রাসেলসহ ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে এলোপাতারী কুপিয়ে পিটিয়ে মারত্মক জখম করে। এসময় এলাকার লোকজন সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনী। পরে  সন্ত্রাসীরা চলে গেলে এলাকাবাসী এসে বাবলু হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ১২ঘন্টা চিকিৎসার পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার সময় মারা যায় বলে নিহতের বড় ভাই রাসেল হোসেন জানান।

এলাকাবাসী অনেকেই জানায়, জলিল আমিনের ছেলে শরিফ ও রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাসহ এলাকায় বেশ অভিযোগ রয়েছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। তবে ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ রসুল আহমেদ নিজামী জানান, হোমনার মধ্যকান্দিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বালু ব্যবসায়ী বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা হাসপাতালে মারা গেছে। আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যহত রয়েছে।