ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় মধ্যযোগীয় কায়দায় গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ

তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা হোমনা উপজেলায় কৃপারামপুর গ্রামে মধ্যযোগীয় কায়দায় বিউটি আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধুকে হাত-পা বেধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভাসুর, জাল ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে নির্যাতিতা বিউটি আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিউটি হাসপাতালে ভর্তি হলে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই বিউটিকে বাদী করে হোমনা থানায় একটি মামলা গ্রহন করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কৃপারামপুর গ্রামের হত দরিদ্র মাওলা মিয়ার মেয়ে বিউটি আক্তারকে ৮বছর পূর্বে আসাদপুর ইউনিয়নের চিৎপুর গ্রামের মৃত সুজন মিয়ার ছেলে প্রবাসী ফারুকের সাথে বিয়ে হয়। ৮বছরের সংসারে জুই(৭) ও ফাহিম(৪) নামের দু’টি কন্যা সন্তানের মা হন। ছোট সংসারে সুখে দিন কাটলেও বিষের কাঁটা হয় ভাসুর, জাল ও শাশুড়ীর নিকট। গত দুই বছর যাবৎ নানাহ অপবাদে জর্জরিত করে মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন চালানো হতো গৃহবধূ বিউটির উপর। এরইে জেরে গত (২৮নভেম্বর) সোমবার রাতে মিথ্যা কুৎসা রটিয়ে চিৎপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা মুসলেম হত্যা মামলার আসামী ইউসুফের নেতৃত্বে তার ভাই মনিরসহ ভাসুর জসিম উদ্দিন, ভাতিজা শাহজালাল, শাশুড়ী কম্পন, খালা শাশুড়ী ফুলবরসহ ৮ জন মিলে হাত-পা বেধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে একটি ঘওে কক্ষে। এভাবে টানা তিন দিনের দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়।

নির্যাতিতের বাবা মাওলা বলেন, আমি ঢাকায় মাছের ব্যবসা করি। জানতে পারলাম আমার মেয়ে হাসপাতালে অসুস্থ্য পরে এসে জানি এই অবস্থা ওদের বিউটিকে কেউ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে পালিয়ে যান।
হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ রসুল আহমদ নিজামী বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। এবং একটি অভিযোগ নিয়েছি। তদন্ত করে অভিযোক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

হোমনায় মধ্যযোগীয় কায়দায় গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:২৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬
তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা হোমনা উপজেলায় কৃপারামপুর গ্রামে মধ্যযোগীয় কায়দায় বিউটি আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধুকে হাত-পা বেধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভাসুর, জাল ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে নির্যাতিতা বিউটি আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিউটি হাসপাতালে ভর্তি হলে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই বিউটিকে বাদী করে হোমনা থানায় একটি মামলা গ্রহন করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কৃপারামপুর গ্রামের হত দরিদ্র মাওলা মিয়ার মেয়ে বিউটি আক্তারকে ৮বছর পূর্বে আসাদপুর ইউনিয়নের চিৎপুর গ্রামের মৃত সুজন মিয়ার ছেলে প্রবাসী ফারুকের সাথে বিয়ে হয়। ৮বছরের সংসারে জুই(৭) ও ফাহিম(৪) নামের দু’টি কন্যা সন্তানের মা হন। ছোট সংসারে সুখে দিন কাটলেও বিষের কাঁটা হয় ভাসুর, জাল ও শাশুড়ীর নিকট। গত দুই বছর যাবৎ নানাহ অপবাদে জর্জরিত করে মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন চালানো হতো গৃহবধূ বিউটির উপর। এরইে জেরে গত (২৮নভেম্বর) সোমবার রাতে মিথ্যা কুৎসা রটিয়ে চিৎপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা মুসলেম হত্যা মামলার আসামী ইউসুফের নেতৃত্বে তার ভাই মনিরসহ ভাসুর জসিম উদ্দিন, ভাতিজা শাহজালাল, শাশুড়ী কম্পন, খালা শাশুড়ী ফুলবরসহ ৮ জন মিলে হাত-পা বেধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে একটি ঘওে কক্ষে। এভাবে টানা তিন দিনের দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়।

নির্যাতিতের বাবা মাওলা বলেন, আমি ঢাকায় মাছের ব্যবসা করি। জানতে পারলাম আমার মেয়ে হাসপাতালে অসুস্থ্য পরে এসে জানি এই অবস্থা ওদের বিউটিকে কেউ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে পালিয়ে যান।
হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ রসুল আহমদ নিজামী বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। এবং একটি অভিযোগ নিয়েছি। তদন্ত করে অভিযোক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।