ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় যুবলীগ নেতা কিবরিয়া আতংঙ্কে অতিষ্ঠ পাথালিয়াকান্দি গ্রামবাসী

স্টাফ রির্টার, কুমিল্লাঃ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. গোলাম কিবরিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আতংঙ্কে অতিষ্ঠ পাথালিয়াকান্দি গ্রামবাসী। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা কিবরিয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ উপজেলার পাথালিয়াকান্দি গ্রামে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,চাদাবাজি, চুরি, ডাকাতি,মাদক, নারী নির্যাতন, অসহায় মহিলাদের শ্লীহতাহানি,পুলিশ দিয়ে নিরীহ মানুষের হয়রানী করা সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালানো ও ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছে। তাই তার এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হাত হতে রেহাই পেতে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে থানায় ও কোর্টে ১৪টির ও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও জানা যায়, সে এলাকার সর্দার-প্রধান ও মুরব্বীদের উপর হামলা এবং মারধর করার ঘটনা ঘটিয়েছে বেশ কয়েক বার।

তার এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে হোমনা থানা এবং কোর্টে-আব্দুস সালাম, পিতা ঃ- মো. ছাদেক মিয়া,তাজু মিয়া, পিতা ঃ আব্দুল মালেক, তফাজ্জল হোসেন, পিতা ঃ- মৃত. তারা মিয়া, রেখা বেগম,স্বামী ঃ- তফাজ্জল হোসেন, পারুল আক্তার, স্বামী ঃ- মৃত. তারা মিয়া, আছিয়া বেগম, স্বামী ঃ- হোসেন মিয়া, আয়েশা খাতুন, স্বামী ঃ- নাবালক মিয়া, জামান মিয়া, পিতা ঃ- মৃত. আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে মোট ১৪টি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের কবল থেকে পাথালিয়াকান্দি বাসীকে রক্ষার জন্য সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি,জেলা প্রশাসক কুমিল্লা এবং র‌্যাব-১১ বরাবরে আবেদন করেছে।
ভোক্তভোগি গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে হারুন ভান্ডারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের গ্রামের শুধু মাত্র একটি পরিবার দাড়া সমস্ত গ্রামবাসী আজ নির্যাতিত-নিপিড়িত, তাদের কারনে আজ গ্রামে কোন সুখ-শান্তি নেই বললেই চলে। তারা গ্রামটিকে একটি সন্ত্রাসী রাজ্যে পরিণত করেছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলে কথাটি পর্যন্ত বলতে পারে না।

মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে একজন মিডিয়া কর্মীর কাছে গ্রামের নির্যাতনের কথা তুলে ধরলে পরদিন সন্ত্রাসী কিবরিয়ার ছোট ভাই শাখওয়াত তার বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আছে। এবং আর কোন দিন এব্যাপারে কথা বললে তার পেট কেটে নদীতে বাসিয়ে দেওয়া হবে এই কথা বলে হুমকি প্রদান করে।

এই বিষয়ে কিবরিয়ার মোঠো ফোনে ফোন করে তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো আনিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য মূলক, একটি কুচক্র মহল আমার কাছ থেকে তাদের উদ্দেশ্য ও স্বার্থ আদায়ের জন্য সমাজে যাতে আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মানের হানি ঘটে সে জন্য তারা আমার বিরুদ্ধে এহেন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

এব্যাপারে হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ রসূল আহমেদ নিজামীর সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমি হোমনা থানায় আসার পর তার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত কোন মামলা হয় নি। আর তুমি থানায় আসলে তখন আমাদের পি.এম এর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে যেও এখন আমি বলতে পরবো না তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কি নেই, তাই বলে তিনি ফোন রেখে দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

হোমনায় যুবলীগ নেতা কিবরিয়া আতংঙ্কে অতিষ্ঠ পাথালিয়াকান্দি গ্রামবাসী

আপডেট সময় ০৭:৫০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭
স্টাফ রির্টার, কুমিল্লাঃ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. গোলাম কিবরিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আতংঙ্কে অতিষ্ঠ পাথালিয়াকান্দি গ্রামবাসী। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা কিবরিয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ উপজেলার পাথালিয়াকান্দি গ্রামে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,চাদাবাজি, চুরি, ডাকাতি,মাদক, নারী নির্যাতন, অসহায় মহিলাদের শ্লীহতাহানি,পুলিশ দিয়ে নিরীহ মানুষের হয়রানী করা সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালানো ও ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছে। তাই তার এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হাত হতে রেহাই পেতে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে থানায় ও কোর্টে ১৪টির ও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও জানা যায়, সে এলাকার সর্দার-প্রধান ও মুরব্বীদের উপর হামলা এবং মারধর করার ঘটনা ঘটিয়েছে বেশ কয়েক বার।

তার এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে হোমনা থানা এবং কোর্টে-আব্দুস সালাম, পিতা ঃ- মো. ছাদেক মিয়া,তাজু মিয়া, পিতা ঃ আব্দুল মালেক, তফাজ্জল হোসেন, পিতা ঃ- মৃত. তারা মিয়া, রেখা বেগম,স্বামী ঃ- তফাজ্জল হোসেন, পারুল আক্তার, স্বামী ঃ- মৃত. তারা মিয়া, আছিয়া বেগম, স্বামী ঃ- হোসেন মিয়া, আয়েশা খাতুন, স্বামী ঃ- নাবালক মিয়া, জামান মিয়া, পিতা ঃ- মৃত. আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে মোট ১৪টি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের কবল থেকে পাথালিয়াকান্দি বাসীকে রক্ষার জন্য সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি,জেলা প্রশাসক কুমিল্লা এবং র‌্যাব-১১ বরাবরে আবেদন করেছে।
ভোক্তভোগি গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে হারুন ভান্ডারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের গ্রামের শুধু মাত্র একটি পরিবার দাড়া সমস্ত গ্রামবাসী আজ নির্যাতিত-নিপিড়িত, তাদের কারনে আজ গ্রামে কোন সুখ-শান্তি নেই বললেই চলে। তারা গ্রামটিকে একটি সন্ত্রাসী রাজ্যে পরিণত করেছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলে কথাটি পর্যন্ত বলতে পারে না।

মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে একজন মিডিয়া কর্মীর কাছে গ্রামের নির্যাতনের কথা তুলে ধরলে পরদিন সন্ত্রাসী কিবরিয়ার ছোট ভাই শাখওয়াত তার বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আছে। এবং আর কোন দিন এব্যাপারে কথা বললে তার পেট কেটে নদীতে বাসিয়ে দেওয়া হবে এই কথা বলে হুমকি প্রদান করে।

এই বিষয়ে কিবরিয়ার মোঠো ফোনে ফোন করে তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো আনিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য মূলক, একটি কুচক্র মহল আমার কাছ থেকে তাদের উদ্দেশ্য ও স্বার্থ আদায়ের জন্য সমাজে যাতে আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মানের হানি ঘটে সে জন্য তারা আমার বিরুদ্ধে এহেন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

এব্যাপারে হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ রসূল আহমেদ নিজামীর সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমি হোমনা থানায় আসার পর তার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত কোন মামলা হয় নি। আর তুমি থানায় আসলে তখন আমাদের পি.এম এর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে যেও এখন আমি বলতে পরবো না তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কি নেই, তাই বলে তিনি ফোন রেখে দেন।