ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনায় শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন

রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) থেকেঃ

কুমিল্লার হোমনায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি- স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার ও স্থপতি, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে কুমিল্লা – ২ হোমনা-তিতাস আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরি’র দিক-নির্দেশনায় উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে ঘনিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০১ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আছাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. জামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন – বাঙালির মহাপ্রাণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান নিজেকে এমনভাবে উজাড় করে দিয়েছিলেন মানুষের জন্য যে, তাকে সবাই ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাবে ভূষিত করেন। বিগত প্রায় ৫০ বছর ধরে জাতির জনক শেখ মুজিব তার নিজের নামের চেয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ নামেই সবার কাছে ব্যাপক পরিচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক মৃত্যুঞ্জয়ী বীর, যিনি বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের অন্তরে বুনেছিলেন বাঙালিত্বের চেতনা। আজীবন লড়াই করেছেন প্রতিক্রিয়াশীল ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে। বাংলার মানুষ এই মহান নেতাকে বাঙালি জাতির জনক হিসেবেও শ্রদ্ধা করে। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে নয় মাস পাকিস্তানিদের শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি এক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

আজ থেকে প্রায় একশত বছর পূর্বে ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ তৎকালীন বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাতগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যেদিনটি মৃত্যুঞ্জয়ী-চিরন্তজীব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শততম জন্মবার্ষিকী।

উপজেলা যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ বলেন – আমাদের তরুণ প্রজন্মের উচিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। আজকের এ শুভদিনে বাঙালির শপথ হোক- বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শোষণমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে রইলো স্বাধীন বাঙালির অফুরন্ত শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সবার জন্যই এক শিক্ষণীয় বিষয়। তার অপরিসীম ত্যাগ ও তিতিক্ষার জন্য আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দঁাড়াতে পেরেছি। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যেমন আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, তেমনি দেশের জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। তাই বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে। কবির ভাষায় তিনি বলেন, ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০১ তম জন্ম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কেক কেটে জন্ম দিনটি উদযাপন করেন, হোমনা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমাদ,ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান, বিশিষ্ট শিল্পপতি মোকবল হোসেন পাঠান, আছাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. জামাল হোসেন ভূঁইয়া,সাধারণ সম্পাদক হাসান সরকার, সহ-সভাপতি সোহেল ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ প্রমূখসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী ও জনসাধারণ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

হোমনায় শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন

আপডেট সময় ০১:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) থেকেঃ

কুমিল্লার হোমনায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি- স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার ও স্থপতি, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে কুমিল্লা – ২ হোমনা-তিতাস আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরি’র দিক-নির্দেশনায় উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে ঘনিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০১ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আছাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. জামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন – বাঙালির মহাপ্রাণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান নিজেকে এমনভাবে উজাড় করে দিয়েছিলেন মানুষের জন্য যে, তাকে সবাই ‘বঙ্গবন্ধু’ খেতাবে ভূষিত করেন। বিগত প্রায় ৫০ বছর ধরে জাতির জনক শেখ মুজিব তার নিজের নামের চেয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ নামেই সবার কাছে ব্যাপক পরিচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক মৃত্যুঞ্জয়ী বীর, যিনি বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের অন্তরে বুনেছিলেন বাঙালিত্বের চেতনা। আজীবন লড়াই করেছেন প্রতিক্রিয়াশীল ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে। বাংলার মানুষ এই মহান নেতাকে বাঙালি জাতির জনক হিসেবেও শ্রদ্ধা করে। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে নয় মাস পাকিস্তানিদের শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি এক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

আজ থেকে প্রায় একশত বছর পূর্বে ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ তৎকালীন বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাতগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যেদিনটি মৃত্যুঞ্জয়ী-চিরন্তজীব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শততম জন্মবার্ষিকী।

উপজেলা যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ বলেন – আমাদের তরুণ প্রজন্মের উচিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। আজকের এ শুভদিনে বাঙালির শপথ হোক- বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শোষণমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে রইলো স্বাধীন বাঙালির অফুরন্ত শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সবার জন্যই এক শিক্ষণীয় বিষয়। তার অপরিসীম ত্যাগ ও তিতিক্ষার জন্য আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দঁাড়াতে পেরেছি। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যেমন আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, তেমনি দেশের জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। তাই বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে। কবির ভাষায় তিনি বলেন, ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০১ তম জন্ম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কেক কেটে জন্ম দিনটি উদযাপন করেন, হোমনা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমাদ,ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান, বিশিষ্ট শিল্পপতি মোকবল হোসেন পাঠান, আছাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. জামাল হোসেন ভূঁইয়া,সাধারণ সম্পাদক হাসান সরকার, সহ-সভাপতি সোহেল ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ প্রমূখসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী ও জনসাধারণ।