ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোমনা-বাঞ্ছারামপুর-গৌরীপুর রুটে অটোরিকশা চলাচলে বাধা, যাত্রী দুর্ভোগ

রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) থেকেঃ

কুমিল্লার হোমনা ওভারব্রীজ থেকে বাঞ্ছারামপুর আসা-যাওয়া সকল সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। হোমনা ওভারব্রীজ হয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আসা সিএনজি অটোরিকশা ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন চালক ও লাইনম্যানরা। প্রায় এক বছর ধরে কুমিল্লা জেলার হোমনা-তিতাস-মেঘনা ও দাউদকান্দি থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে।

এতে যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই রুটে প্রতিদিন শতশত সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী ও মালামাল নিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু সরাসরি সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ থাকায় বাঞ্ছারামপুর রুটের সিএনজি চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে জানা যায়।

গত জানুয়ারি মাস থেকে হোমনা-বাঞ্ছারামপুর রুটের লাইনম্যান গিয়াসউদ্দিন ও বাঞ্ছারামপুরের রুটে চলাচলকারী সিএনজির চালকরা যাত্রী নিয়ে আসা সিএনজি থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছেন। এ দিকে গৌরীপুর থেকে বাঞ্ছারামপুর সিএনজি ভাড়া ছিল ৯০ টাকা। কিন্তু সরাসরি সিএনজি যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে-আসতে খরচ পড়ে ১২০-২৫০টাকা।

বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সেতু ও হোমনা পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সেতুর ওপর দক্ষিণ পাশে লাইনম্যান গিয়াস উদ্দিন সিএনজি থামিয়ে দেখছেন। অন্য এলাকার সিএনজি হলে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বাঞ্ছারামপুরের সিএনজি ছাড়া অন্য কোনো সিএনজি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া সেতুর উপর এলোপাতাড়ি ভাবে সিএনজি রাখার কারনে যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

লাইনম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, এখানে ডিউটি করি বেতন দেন চালকরা। সব গাড়ি বাধা দেওয়া হয় না। রোগী, মুরগির বাচ্চাবাহী সিএনজি যেতে দেওয়া হয়, বেশিরভাগ সময় চালকরা বাধা দেন, এটা লগডাউনের আগে থেকেই চলে আসছে।

হোমনা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান,আমাদের এলাকার কোনো সিএনজি যাত্রী নিয়ে বাঞ্ছারামপুর যেতে পারছে না। হোমনা সেতুর উপরে বাধা দিচ্ছে বাঞ্ছারামপুরের সিএনজি চালক ও লাইনম্যানরা। এতে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে ও চালকদের আয় কমে গেছে। তাদের ঠিকভাবে টাকা জমা দিতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে একাধিকবার বলেছি বিষয়টি সমাধান করতে, আজও সমাধান হয়নি।

এব্যাপারে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, হোমনা সেতুর উপরে সিএনজি যেতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সিএনজি মালিকদের নিকট থেকে শুনেছি। আমি ওইখানে গিয়ে বলে এসেছি, কেউ যদি এমন করেন জানলে মোবাইল কোর্টে জেল দিয়ে দেব, আমি মালিক সমিতিকে ডাকবো বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার মুঠোফোনে জানান, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি আমার জানা নেই আর সিএনজি বাঞ্ছারামপুরে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এটা জানি না। জানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

হোমনা-বাঞ্ছারামপুর-গৌরীপুর রুটে অটোরিকশা চলাচলে বাধা, যাত্রী দুর্ভোগ

আপডেট সময় ১১:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

রায়হান চৌধুরী, হোমনা (কুমিল্লা) থেকেঃ

কুমিল্লার হোমনা ওভারব্রীজ থেকে বাঞ্ছারামপুর আসা-যাওয়া সকল সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। হোমনা ওভারব্রীজ হয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আসা সিএনজি অটোরিকশা ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন চালক ও লাইনম্যানরা। প্রায় এক বছর ধরে কুমিল্লা জেলার হোমনা-তিতাস-মেঘনা ও দাউদকান্দি থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে।

এতে যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই রুটে প্রতিদিন শতশত সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী ও মালামাল নিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু সরাসরি সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ থাকায় বাঞ্ছারামপুর রুটের সিএনজি চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে জানা যায়।

গত জানুয়ারি মাস থেকে হোমনা-বাঞ্ছারামপুর রুটের লাইনম্যান গিয়াসউদ্দিন ও বাঞ্ছারামপুরের রুটে চলাচলকারী সিএনজির চালকরা যাত্রী নিয়ে আসা সিএনজি থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছেন। এ দিকে গৌরীপুর থেকে বাঞ্ছারামপুর সিএনজি ভাড়া ছিল ৯০ টাকা। কিন্তু সরাসরি সিএনজি যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে-আসতে খরচ পড়ে ১২০-২৫০টাকা।

বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সেতু ও হোমনা পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সেতুর ওপর দক্ষিণ পাশে লাইনম্যান গিয়াস উদ্দিন সিএনজি থামিয়ে দেখছেন। অন্য এলাকার সিএনজি হলে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বাঞ্ছারামপুরের সিএনজি ছাড়া অন্য কোনো সিএনজি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া সেতুর উপর এলোপাতাড়ি ভাবে সিএনজি রাখার কারনে যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

লাইনম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, এখানে ডিউটি করি বেতন দেন চালকরা। সব গাড়ি বাধা দেওয়া হয় না। রোগী, মুরগির বাচ্চাবাহী সিএনজি যেতে দেওয়া হয়, বেশিরভাগ সময় চালকরা বাধা দেন, এটা লগডাউনের আগে থেকেই চলে আসছে।

হোমনা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান,আমাদের এলাকার কোনো সিএনজি যাত্রী নিয়ে বাঞ্ছারামপুর যেতে পারছে না। হোমনা সেতুর উপরে বাধা দিচ্ছে বাঞ্ছারামপুরের সিএনজি চালক ও লাইনম্যানরা। এতে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে ও চালকদের আয় কমে গেছে। তাদের ঠিকভাবে টাকা জমা দিতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে একাধিকবার বলেছি বিষয়টি সমাধান করতে, আজও সমাধান হয়নি।

এব্যাপারে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, হোমনা সেতুর উপরে সিএনজি যেতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সিএনজি মালিকদের নিকট থেকে শুনেছি। আমি ওইখানে গিয়ে বলে এসেছি, কেউ যদি এমন করেন জানলে মোবাইল কোর্টে জেল দিয়ে দেব, আমি মালিক সমিতিকে ডাকবো বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার মুঠোফোনে জানান, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি আমার জানা নেই আর সিএনজি বাঞ্ছারামপুরে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এটা জানি না। জানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।