ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকার ঘর

জাতীয় ডেস্ক:

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে ঘর তৈরি করে দেবে সরকার। প্রতিটি ঘর তৈরিতে খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা। এসব ঘর পাবেন ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা। মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপহার হিসেবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। আসন্ন বিজয় দিবসে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এবং এ বি তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার দুইশ কোটি টাকা। অর্থাৎ একেকটি বাড়ি নির্মাণ করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের তালিকা প্রণয়নের কাজ সারাদেশে অব্যাহত আছে। এরইমধ্যে যেসব জেলার রাজাকারদের তালিকা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে এসেছে সেগুলোই বিজয় দিবসে প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া গুলিস্থান শপিং কমপ্লেক্স, জামুকার আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সারাদেশের রাজাকার-আলবদরদের তালিকা প্রণয়নের কাজ অব্যাহত থাকলেও সেটি চলছে ঢিলেঢালাভাবে। এখন পর্যন্ত পুরো দেশের রাজাকারদের তালিকা করা সম্ভব হয়নি।’

‘তালিকা প্রণয়ন করতে জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত একটি কমিটিও রয়েছে। তারা তাদের কার্যক্রমটি সঠিকভাবে পালন না করার কারণে রাজকারদের তালিকা চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। বৈঠক থেকে কমিটিকে এ সর্ম্পকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।’

বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী কর্মশালা

১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকার ঘর

আপডেট সময় ০৭:০৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

জাতীয় ডেস্ক:

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে ঘর তৈরি করে দেবে সরকার। প্রতিটি ঘর তৈরিতে খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা। এসব ঘর পাবেন ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা। মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপহার হিসেবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। আসন্ন বিজয় দিবসে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এবং এ বি তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার দুইশ কোটি টাকা। অর্থাৎ একেকটি বাড়ি নির্মাণ করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের তালিকা প্রণয়নের কাজ সারাদেশে অব্যাহত আছে। এরইমধ্যে যেসব জেলার রাজাকারদের তালিকা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে এসেছে সেগুলোই বিজয় দিবসে প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া গুলিস্থান শপিং কমপ্লেক্স, জামুকার আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সারাদেশের রাজাকার-আলবদরদের তালিকা প্রণয়নের কাজ অব্যাহত থাকলেও সেটি চলছে ঢিলেঢালাভাবে। এখন পর্যন্ত পুরো দেশের রাজাকারদের তালিকা করা সম্ভব হয়নি।’

‘তালিকা প্রণয়ন করতে জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত একটি কমিটিও রয়েছে। তারা তাদের কার্যক্রমটি সঠিকভাবে পালন না করার কারণে রাজকারদের তালিকা চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। বৈঠক থেকে কমিটিকে এ সর্ম্পকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।’

বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।