ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৭৫০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ দরে পাট কিনবে সরকার

জাতীয় ডেস্কঃ
শুরু হয়েছে পাট কাটার মৌসুম। আর মৌসুমের শুরুতেই পাট কিনতে মাঠে নেমেছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলগুলোর পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)। কৃষক যাতে পাটের নায্যমূল্য পায় সেজন্য আগেভাগেই পাট কেনা শুরু করেছে সরকারের এ সংস্থাটি। চলতি মৌসুমে ১ হাজার কোটি টাকার পাট কিনবে বিজেএমসি। ইতোমধ্যে সরকার ২০০ কোটি টাকা পাট কেনার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া মিলগুলো ও বিজেএমসি গতবারের মতো এবারও প্রায় ৬০০ কোটি টাকা যোগান দেবে। বাকি টাকা সরকারের কাছ থেকে নেয়া হবে।
বিজেএমসি সূত্র জানিয়েছে, এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর কৃষক পাটের নায্যমূল্য পাওয়ায় পাট চাষে উত্সাহিত হয়েছে। আর সরকারও চাচ্ছে চাষীদের এ আগ্রহ ধরে রাখতে। তাই গত মৌসুমে ৮০৫ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার পাট কিনলেও এবার ১ হাজার কোটি টাকার পাট কেনা হবে। এছাড়া এবার পাট কেনার লক্ষমাত্রাও পূরণ করা হবে।
পাট অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে সারাদেশে ৭ লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে ৭৭ লাখ বেল পাট উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধান, চাল, গম, ভূট্টাসহ ১৭টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় পাটের ব্যবহার বেড়েছে। তবে পাট চাষ করে কৃষকের ভাগ্য এখনো ফেরেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনা এবং এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চাষীরা পাটের নায্যমূল্য পান না। এতে বেশিরভাগ সময় তাদের লোকসান গুনতে হয়। এরইমধ্যে অনেক কৃষক পাট চাষের বদলে ধানসহ অন্য লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকেছেন। তবে আশার কথা হলো, সরকার এ খাতে নজর দেয়ায় চাষীরা আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে পাট নিয়ে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

১৭৫০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ দরে পাট কিনবে সরকার

আপডেট সময় ০৪:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
শুরু হয়েছে পাট কাটার মৌসুম। আর মৌসুমের শুরুতেই পাট কিনতে মাঠে নেমেছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলগুলোর পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)। কৃষক যাতে পাটের নায্যমূল্য পায় সেজন্য আগেভাগেই পাট কেনা শুরু করেছে সরকারের এ সংস্থাটি। চলতি মৌসুমে ১ হাজার কোটি টাকার পাট কিনবে বিজেএমসি। ইতোমধ্যে সরকার ২০০ কোটি টাকা পাট কেনার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া মিলগুলো ও বিজেএমসি গতবারের মতো এবারও প্রায় ৬০০ কোটি টাকা যোগান দেবে। বাকি টাকা সরকারের কাছ থেকে নেয়া হবে।
বিজেএমসি সূত্র জানিয়েছে, এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর কৃষক পাটের নায্যমূল্য পাওয়ায় পাট চাষে উত্সাহিত হয়েছে। আর সরকারও চাচ্ছে চাষীদের এ আগ্রহ ধরে রাখতে। তাই গত মৌসুমে ৮০৫ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার পাট কিনলেও এবার ১ হাজার কোটি টাকার পাট কেনা হবে। এছাড়া এবার পাট কেনার লক্ষমাত্রাও পূরণ করা হবে।
পাট অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে সারাদেশে ৭ লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে ৭৭ লাখ বেল পাট উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধান, চাল, গম, ভূট্টাসহ ১৭টি পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় পাটের ব্যবহার বেড়েছে। তবে পাট চাষ করে কৃষকের ভাগ্য এখনো ফেরেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনা এবং এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চাষীরা পাটের নায্যমূল্য পান না। এতে বেশিরভাগ সময় তাদের লোকসান গুনতে হয়। এরইমধ্যে অনেক কৃষক পাট চাষের বদলে ধানসহ অন্য লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকেছেন। তবে আশার কথা হলো, সরকার এ খাতে নজর দেয়ায় চাষীরা আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে পাট নিয়ে।