মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
২৩ মার্চ ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
দীর্ঘ ১৯ বছর পর কাল মঙ্গলবার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। ইতিমধ্যে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। এ নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা ভোটের আশায় প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ২১ জন কাউন্সিলর এবং থানা কমিটিসহ সম্মেলনে ৩৫১ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
গত ১৫ মার্চ রবিবার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্রগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির বাসায় তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করা হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আবুল হাসেম সরকার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলীর ছেলে মেজর (অব:) মোহাম্মদ আলী সুমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খোরশেদ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব ঘোষ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস ছালাম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন শিকদার, জাকির নেওয়াজ সোহেল এবং মামুনুর রশিদ মামুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে মো: আবুল হাসেম সরকার সভাপতি ও আগের মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব চৌধুরীকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সম্মেলনের পর বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম যাতে বাঁধাগ্রস্ত না হয়- তার জন্য জেলা কমিটি সম্মেলন করা হয়নি বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ওই সম্মেলনের দুই দিন আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে তা স্থগিত করা হয়। এরপর এ বছর ৮ জানুয়ারি সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করার পর জেলার সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ হয়ে বিদেশে যাওয়ায় সম্মেলন আবার স্থগিত করা হয়। এরপর ২০ মার্চ নতুন করে তারিখ ঘোষণা করে স্থান ও পোস্টার ছাপানো হলেও জায়গা সংকুলানের অভাবে আবার তারিখ পরিবর্তন করে ২৪ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।