লাইফস্টাইল :
দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। অনেক দেশ ফাইভজি যুগে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। লন্ডনভিত্তিক টেলিকম গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওভিইউএম সাম্প্র্রতিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিশ্বের ৪০ লাখ মানুষ ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। ২০২৩ সাল নাগাদ ফাইভজি সেবার আওতায় ১৩০ কোটি মানুষ অন্তর্ভুক্ত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিশ্ব জুড়ে ৪০ লাখ গ্রাহক ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। এর মধ্য দিয়ে বছর শেষে ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় থাকা মানুষের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ২৯ লাখে।
নতুন নতুন দেশ ফাইভজি যুগে প্রবেশ করায় প্রতি বছরই এ নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তির দিকে থাকবে। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় সব মিলিয়ে ১৩০ কোটি মানুষ যুক্ত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ঐ সময় বিশ্বব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে টেলিকম নেটওয়ার্ক সম্প্র্রসারণকারী প্রতিষ্ঠান ফাইভজি আমেরিকাসের প্রেসিডেন্ট ক্রিস পিয়ারসন বলেন, দেশে দেশে ফাইভজি নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শুরুর দিকে প্রয়োজনীয় ডিভাইস প্রাপ্তির সমস্যা ছিল। এখন টেলিকম জায়ান্টরা ফাইভজি ডিভাইস তৈরি করছে। আগামীতে ফাইভজি সমর্থিত আইফোন বাজারে আসবে। সব মিলিয়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক বৈশ্বিক টেলিকম খাতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করছে।
উল্লেখ্য, সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলক ফাইভজি চালু করে দক্ষিণ কোরিয়া। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে এ নেটওয়ার্ক সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে। তবে বিস্তৃত পরিসরে ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালুর কৃতিত্ব চীনের। চলতি বছর দেশটি বেইজিং, সাংহাই, কুনমিংসহ একযোগে ৫০টির বেশি শহরে ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু করেছে।
সূত্র : সিএনএন ও রয়টার্স