অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পুজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিশ্বব্যাপী সম্পত্তি কেন্দ্রীভূত হওয়ার হার ক্রমশ বেড়েছে। বিশ্বের মোট দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের যা সম্পত্তি, তার সমপরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে বিশ্বের ২৬ শীর্ষ ধনীর। সম্পত্তির এই বিশাল ব্যবধানের ফলে দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গেল বছর এমন ধনীরা আরো ধনী হয়েছেন। আর দরিদ্ররা হয়েছেন আরো দরিদ্রতর। বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনীদের বার্ষিক আয়ের ওপর এক শতাংশ করারোপ করা হলে তার অর্থ দিয়েই ফি বছর ৩০ লাখ দরিদ্রের মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।
প্রতি দুই দিনে একজন নতুন বিলিওনিয়ার
অক্সফামের মতে, গত দশ বছরের বিলিওনিয়ারদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের প্রতি দুইদিন অন্তর নতুন একজন বিলিওনিয়ার হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের ধনীদের ১০ শতাংশের তুলনায় দরিদ্রতম ১০ শতাংশ মানুষ উচ্চহারে কর দিচ্ছেন।
ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য বাজেটের সমান জেফ বেজসের ১ শতাংশ আয়
সম্পত্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জেফ বেজস। গেল বছরে তার সম্পত্তি বেড়েছে ১১২ বিলিয়ন ডলারে। আর তার একদিনের আয় অর্থাৎ সম্পত্তির মাত্র ১ শতাংশ সাড়ে ১০ কোটি মানুষের দেশ ইথিওপিয়ার পুরো স্বাস্থ্য বাজেটের সমান।
অক্সফামের প্রচারণা ও নীতি বিষয়ক পরিচালক ম্যাথিউ স্পেনসার গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সম্পত্তি অসমতা ভবিষ্যতের অগ্রগতিকে জটিল করে তুলছে। অর্থনীতি যে পথে চলছে তাতে সম্পত্তি ক্রমবর্ধমানভাবে এবং অন্যায্যভাবে কয়েকজনের কাছে জমা হচ্ছে। এটা এমন হওয়া উচিত নয়। সবাইকে বেঁচে থাকার সুযোগ দেওয়ার পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে পৃথিবীতে। সরকারগুলোর উচিত সম্পদ ও ব্যবসায়ীদের কর বাড়ানো।’