খেলাধূলা ডেস্ক:
শুরুতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল কুমিল্লা। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল দলের রান হয়তো ১৫০ও হবে না। কিন্তু শেষদিকে দাসুন শানাকার ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
৩১ বলে ৩টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক শানাকা। অর্থাৎ, ৭৫ রানের মধ্যে ৬৬ রানই বাউন্ডারি থেকে নিয়েছেন তিনি। রংপুর রেঞ্জার্সের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, লুইস গ্রেগরি ২টি, সঞ্জিত সাহা ২টি ও মোহাম্মদ নবী ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
বুধবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটি করার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। তারা ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায়। নবীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ইয়াসির আলী। এরপর রাজাপক্ষের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। ষষ্ঠ ওভারে মোস্তাফিজের বলে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ১৮ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করেন তিনি।
এর পরের ওভারে সঞ্জিতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান রাজাপক্ষে। তারপর ডেভিড মালান ও সাব্বির মিলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ১২তম ওভারে সঞ্জিতের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন মালান।
তার পরের ওভারেই মোস্তাফিজের বলে সঞ্জিতের হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। ১৪তম ওভারে গ্রেগরির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অঙ্কন। এরপর অধিনায়ক দাসুন শানাকা একাই এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। মোস্তাফিজের করা ১৯তম ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষমেশ ৩১ বলে ৭৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ইনিংস: ১৭৩/৭ (২০ ওভার)
(ইয়াসির আলী ০, ভানুকা রাজাপক্ষে ১৫, সৌম্য সরকার ২৬, ডেভিড মালান ২৫, সাব্বির রহমান ১৯, দাসুন শানাকা ৭৫*, মহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২, আবু হায়দার রনি ৬, সানজামুল ইসলাম ০*; মোহাম্মদ নবী ১/১৪, জুনায়েদ খান ০/৪৭, সঞ্জিত সাহা ২/২৬, মোস্তাফিজুর রহমান ২/৩৭, তাসকিন আহমেদ ০/২৩, লুইস গ্রেগরি ২/২৫)।