খেলাধূলা ডেস্কঃ
পচেফস্ট্রুম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৪৯৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৩২০ রান। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭৬ রানে এগিয়ে থেকে একটু পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে প্রোটিয়ারা।
৩২০ রানের ইনিংসটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্টে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। এই ইনিংসেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মত কোন টেস্ট ইনিংসে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে পঞ্চাশের উপর জুটি গড়তে পেরেছেন।
ব্যবধান কমাতে দীর্ঘ সময় ব্যাটিংয়ের আশা নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল টাইগাররা। কিন্তু দিনের খেলা শুরু হলে বেশিদূর যেতে পারেননি আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। দলীয় ১৫৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ।
এরপর মাহমুদুল্লাহ ও মোমিনুল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৪.৩ ওভারে দুজনে ৬০ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটির গড়ার মধ্যেই মোমিনুল ক্যারিয়ারের ১২ তম ফিফটি তুলে নেয়। তৃতীয় দিনে লাঞ্চ বিরতির পর খেলা শুরু হলে ৬৩ ওভারের তৃতীয় বলে কেশব মহারাজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন উইকেটে সেট ব্যাটসম্যান মোমিনুল। মহারাজের শর্ট লেন্থের বল মমিনুলের ব্যাটে লেগে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো মার্করামের হাতে গিয়ে জমা হয়। মোমিনুলের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাব্বির রহমান।
মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়ে তুলে অলিভিয়ারের বলে পেল্ড অন হয়ে বিদায় নেন সাব্বির। তিনি ৪৬ বলে ৩০ রান সংগ্রহ করেন। সাব্বিরের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মিরাজ। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ফলো অন পার করেন মাহমুদুল্লাহ। কেশব মহারাজকে বিশাল একটি ছয় মেরে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা নিশ্চিত করে দেন মাহমুদুল্লাহ। এরপরই প্রোটিয়া পেসার মরকেলের হাতে নতুন বল তুলে দেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। নতুন বলে মাহমুদুল্লাহকেও প্লেড অন করে সাজঘরে ফেরান মরকেল। মাহমুদুল্লাহ বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাসকিন। তাকেও রান আউট করেন টেম্বা বাভুমা। শেষ উইকেট হিসেবে শফিউলকে তুলে নেন কেশব মহারাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ, মরকেল, রাবাদ যথাক্রমে ৩, ২ ও ২ টি উইকেট লাভ করেছেন।