বিনোদন:
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও আলোচিত নায়িকাদের অন্যতম পূর্ণিমা। সৌন্দর্য, অভিনয় ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে নিজেকে তিনি নিয়ে গেছেন সেরাদের তালিকায়। আজ সেই মিষ্টি নায়িকার জন্মদিন। ৩৮ পেরিয়ে পা রাখলেন ৩৯ বছরে। এই বয়সটা তার কাছে কেবলই একটা সংখ্যা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার সৌন্দর্য যেন দিন দিন বাড়ছে। এই বয়সেও কীভাবে তিনি এমন সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে।
দীর্ঘ ২৩ বছরের কেরিয়ারে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দিয়েছেন পূর্ণিমা। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘সুভা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’, ‘পিতা-মাতার আমানত’, ‘কে আমি’, ‘পরাণ যায় জলিয়া রে’, ‘মাটির ঠিকানা উল্লেখযোগ্য।
এর মধ্যে ২০১০ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ ছবিটির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পূর্ণিমা তার কেরিয়ারের প্রথম ও একমাত্র ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ লাভ করেন। এই ছবির নায়ক ছিলেন পরিচালকের ছেলে অভিনেতা কাজী মারুফ। এছাড়া শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি একাধিকবার ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’ পেয়েছেন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি বেশকিছু নাটকেও অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা। এখনও করছেন। এছাড়া উপস্থাপিকা হিসেবেও তিনি ব্যাপক নাম কামিয়েছেন। তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন আরটিভিতে প্রচারিত সেলিব্রেটি টকশো ‘এবং পূর্ণিমা’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনার জন্য। পাশাপাশি অনুষ্ঠানের একটি পর্বের জন্য হয়েছেন সমালোচিতও।
ব্যক্তিগত জীবনে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি কন্যা সন্তানের মা হন। পূর্ণিমার মেয়ে নাম আরশিয়া উমাইজা। কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি বর্তমানে স্বামী ফাহাদ ও মেয়ে আরশিয়াকে নিয়েই কাটে নায়িকার দিন ও রাত।