ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ বছর ধরে ফ্রিজে ভারতীয় ধর্মগুরুর দেহ

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর জেলার নূরমহাল শহরের প্রয়াত ধর্মগুরু আশুতোষ মহারাজ। ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি বুকে ব্যথা নিয়ে সাদগুরু প্রতাপ সিং অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দিব্যজ্যোতি জাগৃতি সংস্থানের প্রধান আশুতোষ মহারাজ। কিন্তু তাকে সে দিন বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। আজ থেকে পাঁচ বছর আগেই বন্ধ হয়েছিল তার শ্বাসপ্রশ্বাস। কিন্তু ভক্তদের আবদারে আজও তিনি ফ্রিজে ‘সমাহিত’ রয়েছেন নিজের ডেরাতেই।

আনন্দবাজার জানায়, পাঞ্জাবের জলন্ধর-নাকোদার রোডের ওপরে ৪০ একর জমির ওপর রয়েছে দিব্যজ্যোতি জাগৃতি সংস্থানের ডেরা। সেখানে মাইনাস ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফ্রিজের মধ্যে গত পাঁচ বছর ধরে রাখা আছে আশুতোষের দেহ। আশুতোষের ২০ জন ভক্ত পালা করে পাহারা দেয় ফ্রিজে রাখা আশুতোষের দেহ।

প্রতি ৬ মাস অন্তর পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নিযুক্ত চিকিৎসকদের দল এসে পরীক্ষা করে দেখেন মৃতদেহে পচন ধরছে কিনা। গত ডিসেম্বরে শেষবারের মতো আশুতোষের সংরক্ষিত দেহ পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা।

পাসপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৪৬ সালে বিহারের দ্বারভাঙা জেলার নাখলোর গ্রামে জন্ম হয়েছিল আশুতোষের। বিয়ের ১৮ মাস পরে স্ত্রী-পুত্রকে ছেড়ে সৎপাল মহারাজের কাছে দীক্ষা নেন তিনি। শুরু হয় তার সন্ন্যাস জীবন। তারপর ১৯৮৩ সালে নিজের ডেরা খোলেন তিনি।

তবে আশুতোষের এই দেহ সংরক্ষণ মনে পড়িয়ে দিচ্ছে এ রাজ্যে বালক ব্রহ্মচারীর দেহ আটকে রাখার ঘটনাকে। ফের বেঁচে উঠবেন বালক ব্রহ্মচারী, এই আশাতেই দেহ আটকে রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তার ভক্তরা।যদিও পরে প্রশাসনের তৎরতায় উদ্ধার করা হয়েছিল ব্রহ্মচারীর দেহ। আশুতোষের দেহেও একই বিশ্বাসে পাঁচ বছর ধরে সংরক্ষণ করছেন তার ভক্তরা। তবে পার্থক্য একটাই, ভক্তদের দাবি মেনে আশুতোষের দেহ সংরক্ষণ করা হচ্ছে আদালতের পর্যবেক্ষণেই।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৫ বছর ধরে ফ্রিজে ভারতীয় ধর্মগুরুর দেহ

আপডেট সময় ০২:৩০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৯
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর জেলার নূরমহাল শহরের প্রয়াত ধর্মগুরু আশুতোষ মহারাজ। ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি বুকে ব্যথা নিয়ে সাদগুরু প্রতাপ সিং অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দিব্যজ্যোতি জাগৃতি সংস্থানের প্রধান আশুতোষ মহারাজ। কিন্তু তাকে সে দিন বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। আজ থেকে পাঁচ বছর আগেই বন্ধ হয়েছিল তার শ্বাসপ্রশ্বাস। কিন্তু ভক্তদের আবদারে আজও তিনি ফ্রিজে ‘সমাহিত’ রয়েছেন নিজের ডেরাতেই।

আনন্দবাজার জানায়, পাঞ্জাবের জলন্ধর-নাকোদার রোডের ওপরে ৪০ একর জমির ওপর রয়েছে দিব্যজ্যোতি জাগৃতি সংস্থানের ডেরা। সেখানে মাইনাস ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফ্রিজের মধ্যে গত পাঁচ বছর ধরে রাখা আছে আশুতোষের দেহ। আশুতোষের ২০ জন ভক্ত পালা করে পাহারা দেয় ফ্রিজে রাখা আশুতোষের দেহ।

প্রতি ৬ মাস অন্তর পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নিযুক্ত চিকিৎসকদের দল এসে পরীক্ষা করে দেখেন মৃতদেহে পচন ধরছে কিনা। গত ডিসেম্বরে শেষবারের মতো আশুতোষের সংরক্ষিত দেহ পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা।

পাসপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৪৬ সালে বিহারের দ্বারভাঙা জেলার নাখলোর গ্রামে জন্ম হয়েছিল আশুতোষের। বিয়ের ১৮ মাস পরে স্ত্রী-পুত্রকে ছেড়ে সৎপাল মহারাজের কাছে দীক্ষা নেন তিনি। শুরু হয় তার সন্ন্যাস জীবন। তারপর ১৯৮৩ সালে নিজের ডেরা খোলেন তিনি।

তবে আশুতোষের এই দেহ সংরক্ষণ মনে পড়িয়ে দিচ্ছে এ রাজ্যে বালক ব্রহ্মচারীর দেহ আটকে রাখার ঘটনাকে। ফের বেঁচে উঠবেন বালক ব্রহ্মচারী, এই আশাতেই দেহ আটকে রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তার ভক্তরা।যদিও পরে প্রশাসনের তৎরতায় উদ্ধার করা হয়েছিল ব্রহ্মচারীর দেহ। আশুতোষের দেহেও একই বিশ্বাসে পাঁচ বছর ধরে সংরক্ষণ করছেন তার ভক্তরা। তবে পার্থক্য একটাই, ভক্তদের দাবি মেনে আশুতোষের দেহ সংরক্ষণ করা হচ্ছে আদালতের পর্যবেক্ষণেই।