বিনোদন :
মাঝে কেটে গেছে পাক্কা ৬টি বছর, এরমধ্যে কোনো ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ পায়নি ভারত। তবে অবশেষে অদম্য এই টিম ইন্ডিয়াকে সেই লজ্জা দিল নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষটিতে ৫ উইকেটে জিতে সফরকারীদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশই করল কিউইরা।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারত। বৃষ্টির কারণে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছিল। তবে ১৯৮৮/৮৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সবকটিতেই হেরেছিল ভারত। এ হিসেবে মতে, প্রায় ৩২ বছর পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত।
অথচ ভারত এবারের নিউজিল্যান্ড সফর কি দুর্দান্তভাবই না শুরু করেছিল। কিউইদের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বিরাট কোহলিবাহিনী। তবে ওয়ানডেতে এসে লজ্জাই পেতে হলো।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামে। যেখানে প্রথম ব্যাট করা ভারত ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান করে। জবাবে ১৭ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা।
২৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। ১৬.৩ ওভারে ১০৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৬ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৬ করে যুজভেন্দ্র চাহালের বলে বোল্ড হন গাপটিল।
ম্যাচ সেরা নিকোলসের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান। ১০৩ বলে তিনি ৯টি চারের মার মারেন। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে টম ল্যাঠাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৮০ রান করে দলের জয় সহজ করেন। ২৮ বলে ঝড়ো ৫৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন গ্র্যান্ডহোম। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া ল্যাঠামের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৩২ রান।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চাহাল ৩টি উইকেট পান। আর শার্দুল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাদেজা একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। মাঝে অবশ্য রাহুল দুটি ভিন্ন জুটিতে শত রান তুলে দলকে উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তিনি শেষ পর্যন্ত ১১৩ বলে ৯টি চার ও দুটি ছক্কায় ১১২ করে হামিশ বেনেটের বলে বিদায় নেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে ৬২ রান আসে।
কিউই বোলার বেনেট একাই ৪ উইকেট দখল করেন। কাইল জেমিসন ও জিমি নিশাম একটি করে উইকেট পান।
ম্যাচ সেরা নিকোলস হলেও, পুরো সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সিরিজ সেরার পুরস্কার পান কিউই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলর।