ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানে দুর্নীতির দায়ে প্রকাশ্যে ফাঁসি

অন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে নেমেছে ইরান প্রশাসন। কারো বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি, প্রতারণা বা দুর্নীতির মামলায় ধরা পড়লে ছোটোখাটো সাজা নয়, মিলছে একেবারে মৃত্যুদণ্ড। তারই প্রেক্ষিতে প্রতারণার দায়ে হামিদরেজা বাকেরি দারমানি নামে দেশের অন্যতম এক বড় শিল্পপতিকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিল ইরান।

হামিদরেজা বাকেরি দারমানি ইরানে ‘সুলতান অব বিটুমেন’ বলে পরিচিত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, তৈল ও তৈলজাত পণ্য চোরাচালান ও প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পরে হামিদরেজাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। চলতি মাসেই আদালতের সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।

শনিবার ইরানে হামিদরেজাকে ফাঁসি দেওয়ার ঘটনা স্থানীয় সরকারি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। ফাঁসির ঘটনার নেপথ্যে অ্যাকশন ফিল্মের সাউন্ডট্র্যাক বাজানো হয়। সঙ্গে সম্প্রচার করা হয় হামিদরেজার অপরাধ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র।

২০১৪-র অগস্টে প্রথমবার গ্রেফতার করা হয় হামিদরেজাকে। স্থাবর সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বহু টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া হামিদরেজা ভুয়ো সংস্থাগুলিকে সামনে রেখে জালিয়াতি করে অন্তত তিরিশ হাজার টন বিটুমেন সংগ্রহ করেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, মৃত্যুদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আর এক আসামি শিল্পপতি বাবাক মর্তেজা জ়ানজানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি ক্ষেত্রে আসা আন্তর্জাতিক অনুমোদনের ২৭০ কোটি ডলার আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় বাবাক। এখন সে ফাঁসির আসামি।

হামিদরেজা তৃতীয় ব্যবসায়ী, যার দুর্নীতির অভিযোগে ফাঁসি হল। গত নভেম্বরে দুর্নীতি মামলায় আরও দুই ব্যবসায়ীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে তেহরান। তথ্যসূত্র: ইরানি পোস্ট, মিডল ইস্ট, ইন্ডিয়া টাইমস, আনন্দবাজার।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঞ্ছারামপুরের ‘ডন’ খ্যাত এমপির ভাগিনা জনির জামিন।বিএনপির নেতাকর্মী সহ এলাকায় তোলপাড়! 

ইরানে দুর্নীতির দায়ে প্রকাশ্যে ফাঁসি

আপডেট সময় ০৯:২৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
অন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে নেমেছে ইরান প্রশাসন। কারো বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি, প্রতারণা বা দুর্নীতির মামলায় ধরা পড়লে ছোটোখাটো সাজা নয়, মিলছে একেবারে মৃত্যুদণ্ড। তারই প্রেক্ষিতে প্রতারণার দায়ে হামিদরেজা বাকেরি দারমানি নামে দেশের অন্যতম এক বড় শিল্পপতিকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিল ইরান।

হামিদরেজা বাকেরি দারমানি ইরানে ‘সুলতান অব বিটুমেন’ বলে পরিচিত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, তৈল ও তৈলজাত পণ্য চোরাচালান ও প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পরে হামিদরেজাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। চলতি মাসেই আদালতের সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।

শনিবার ইরানে হামিদরেজাকে ফাঁসি দেওয়ার ঘটনা স্থানীয় সরকারি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। ফাঁসির ঘটনার নেপথ্যে অ্যাকশন ফিল্মের সাউন্ডট্র্যাক বাজানো হয়। সঙ্গে সম্প্রচার করা হয় হামিদরেজার অপরাধ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র।

২০১৪-র অগস্টে প্রথমবার গ্রেফতার করা হয় হামিদরেজাকে। স্থাবর সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বহু টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া হামিদরেজা ভুয়ো সংস্থাগুলিকে সামনে রেখে জালিয়াতি করে অন্তত তিরিশ হাজার টন বিটুমেন সংগ্রহ করেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, মৃত্যুদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আর এক আসামি শিল্পপতি বাবাক মর্তেজা জ়ানজানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি ক্ষেত্রে আসা আন্তর্জাতিক অনুমোদনের ২৭০ কোটি ডলার আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় বাবাক। এখন সে ফাঁসির আসামি।

হামিদরেজা তৃতীয় ব্যবসায়ী, যার দুর্নীতির অভিযোগে ফাঁসি হল। গত নভেম্বরে দুর্নীতি মামলায় আরও দুই ব্যবসায়ীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে তেহরান। তথ্যসূত্র: ইরানি পোস্ট, মিডল ইস্ট, ইন্ডিয়া টাইমস, আনন্দবাজার।