ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সঠিক নিয়ত ও তাসবীহ

 ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

নামাজ ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরয্‌। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। শাহাদাহ্‌ বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাই সকলের জন্য সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। জেনে নিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও বাংলায় মোনাজাত।

ফজরের নামাজ

ফজরের ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।)

ফজরের ২ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

বিশেয় দ্রষ্টব্যঃ  ইমামতি করিতে-আনা ইমামুল্লিমান হাজারা ও মাইয়্যাফজুরু সহ মুতাওয়াজ্জিহান বলতে হবে আর ইমামের পিছনে নামাজ পড়িতে হলে বলতে হবে(এক্তাদাইতু বিহা-যাল ইমামি মুতা ওয়াজ্জিহান…)

জোহরের নামাজ

জোহরের নাময মোট ১২ রাকাত। সূর্য মাথার উপর হইতে পশ্চিম্ দিকে একটু হেলিয়া পড়িলেই জোহরের নামাযের ওয়াক্ত আরম্ভ হয় এবং কোন কিছুর ছায়া দ্বিগুণ হইলে জোহরের ওয়াক্ত শেষ হইয়া যায়।

জোহরের ৪ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। )

জোহরের ৪ রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি ফারজুল্লাহি তাআলঅ মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

জোহরের ২ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতাই সালাতিজ জোহরি সুন্নাতি রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

জোহরের ২ রাকায়াত নফল নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল নাফলি মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

আছরের নামাজ

আছরের নামায মোট ৮ রাকাত। কোন লাকড়ির ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর হইতে সূর্যাস্তের ১৫/২০ মিনিট পূর্বে পর্যন্ত আছরের নামাযের সময় থাকে।

আছরের চার রাকায়াত সুন্নাত নামাযের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইত ুআন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকায়াতি সালাতিল আছরি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

আছরের চার রাকায়াত ফরজ নামাযের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইত ুআন্উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকায়াতি সালাতিল আছরি ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

মাগরিবের নামাজ

মাগরিবের নামায মোট ০৭ রাকায়াত। সূর্যাস্তের পর হইতে মাগরিবের নামাযের সময় হয় মাগরিবের ওয়াক্ত অতি অল্পকাল স্থায়ী।

মাগরিবের ৩ রাকায়াত ফরজ নামাযের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা ছালাছা রাকয়াতি সালাতিল মাগরিব ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

মাগরিবের ২ রাকায়াত সুন্নাত ফরজ নামাযের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল মাগরিবি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
উক্ত দুই রাকায়াত সুন্নত নামায শেষ হইলে দুই রাকয়াত নফল নামাজ পরিবেন।

এশার নামাজ

এশার ৪ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি এশায়ি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

এশার চার রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইত ুআন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি এশায়ি ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

এশার দুই রাকায়াত সুন্নাত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতি সালাতিল এশায়ি সুন্নাতু রাসুূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

তিন রাকায়াত বেতের নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা ছালাছা রাকায়াতি সালাতিল বিতরি ওয়াজিবুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তাসবিহ

১। ফজরের নামাজের তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম।)-তিনি চির জীবিত ও চিরস্থায়ী।
২। জোহরের নামাজের তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়াল আলিইয়্যাল আজীম)-তিনি শ্রেষ্ট্রতর অতি মহান।
৩। আছরের নামাজের তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়ার রাহমা- নুর রাহীম)-তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।
৪। মাগরিবের নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়াল গাফুরুর রাহীম)- তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।
৫। এশার নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর)- তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।

সালাম বাংলায় : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। )

মোনাজাত বাংলায় :

(রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াকিনা আজাবান্নার। ওয়া সাল্লাল্লাহু- তাআলা আলা খাইরি খালক্বিহী মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ-লিহি ওয়াআছহাবিহী আজমায়ীন। বিরাহমাতিকা ইয়া আরিহামার রাহিমীন।)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

নতুন নামাজীকে পুরানো নামাজের কাযা পড়তে হবে না: অনেকেই নামাজ পড়া শুরু করে না এই ভয়ে যে সারাজীবনে যা নামাজ miss হয়ে গেছে তার কাযা পড়তে হবে। হাদিস থেকে এরকম কোন বিধান পাওয়া যায় না। আপনি যদি আগে বেনামাজী হয়ে থাকেন আপনাকে আগের নামাজ কাযা পড়তে হবে না, কিন্তু আল্লাহ্‌র কাছে আন্তরিকতার সাথে তাওবাহ্‌ করতে হবে। তবে নিয়মিত নামাজী হওয়ার পর, কোন অপরাগতার কারণে যদি ২/১ বার কখনো নামাজ miss করে ফেলেন তখন সেটার কাযা পড়তে হবে ।

রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন: যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাক’আত (ফরজ বাদে অতিরিক্ত) নামাজ পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরী করা হবে। এই ১২ রাক’আত হলো: যোহর নামাজের আগে ৪, পরে ২ রাক’আত, মাগরিবের নামাজের পরে ২ রাক’আত, ইশা এর নামাজের পরে ২ রাক’আত এবং ফজরের নামাজের আগে ২ রাক’আত। – (তিরমিযী ৩৮০, সহীহ আল জামি’ ৬৩৬২, হাদিসটি সহীহ)

আরবীতে নামাজের নিয়ত পড়ার দরকার নেই: আরবীতের নামাজের নিয়ত পড়ার বা মৌখিক ভাবে নিয়ত উচ্চারণ করার কোন বাধ্য বাধকতা নাই, বরং এটা বিদ’আত (বিদ’আত: ধর্মে নতুন সংযোজন যা রাসূলুল্লাহ(সা) বা তাঁর অনুগত সাহাবাদের দ্বারা প্রমাণিত নয়)। নিয়ত করা একটি অন্তর্গত ব্যাপার। আপনি মনে মনে নিজের ভাষায় নামাজের উদ্দেশ্য পোষণ করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।

নামাজে চার বার হাত তোলা: নামাজে উভয় হাত কানের লতি বা কাঁধ পর্যন্ত তোলাকে রাফ’উল ইয়াদাইন বলে। প্রচলিত ভাবে আমরা শুধু মাত্র ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামাজের শুরুতে হাত বাঁধার সময় কাঁধ পর্যন্ত দুই হাত তুলি। এটা ঠিক আছে, কিন্তু ইমাম বুখারীর সহীহ হাদিস অনুসারে রাসূলুল্লাহ(সা) আরও তিন সময় হাত তুলতেনঃ
i) সামি’আল্লা হুলিমান হামিদাহ্‌ বলে রুকু’তে যাওয়ার সময়
ii) রাব্বানা লাকাল হামদ্‌ বলে রুকু থেকে উঠার সময়
iii) দ্বিতীয় রাক’আতের আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পরে তৃতীয় রাক’আতের শুরুতে আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাড়ানোর সময়।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত এই হাত তোলা মুস্তাহাব, কেউ না তুললেও তার নামাজ হবে, কিন্তু যে তুলবে সে ইনশা আল্লাহ্‌ অনেক সাওয়াব পাবে।

সিজদায় দু’আ করা: আমাদের অনেকেরই জানা নাই যে সিজদারত অবস্থায় নিজের ভাষায় দু’আ করা যায়। রাসূলুল্লাহ(সা) বলেছেন যে, বান্দা আল্লাহ্‌র সবচেয়ে কাছে থাকে সিজদারত অবস্থায়, তাই তিনি সিজদায় থাকাকালে বেশী করে দু’আ করতে বলেছেন (সহীহ্‌ মুসলিম)।

তাশাহ্‌হুদের সময় তর্জনী তোলা: নামাজের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ রাক’আতে বসে বসে তাশাহ্‌হুদ তথা আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় আমরা কেউ ডান হাতের তর্জনী তুলি, কেউ তুলি না, আবার কেউ শুধু ‘আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার সময় তর্জনী তুলি – এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশীরভাগ মুসলিমই confused থাকে। সঠিক পদ্ধতি হলো যে, এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ(সা) এর সুন্নাত দুইরকমঃ
i) সমস্ত তাশাহহুদের সময় ডান হাতের মুঠি প্রায় বন্ধ করে তর্জনী কিবলার দিকে করে স্থির রাখা
ii) সমস্ত তাশাহহুদের সময় ডান হাতের মুঠি প্রায় বন্ধ করে তর্জনী কিবলার দিকে করে স্থির না রেখে অল্প একটু উপরে নিচে করে নাড়তে থাকা।

উল্লেখ্য যে, তর্জনী নাড়ানোর এই পদ্ধতিটিও মুস্তাহাব। অর্থাৎ, কেউ একেবারেই তর্জনী না উঠালে গুনাহগার হবে না, কিন্তু কেউ এটা করলে সাওয়াব পাবে ইনশা আল্লাহ্‌।

মুনাজাত নামাজের অংশ নয়: মুনাজাতকে নামাজের অংশ মনে করা এবং নামাজ শেষে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা বিদ’আত এবং স্পষ্ট ভ্রষ্টতা[১০]। নামাজ শেষে মুনাজাত না করে বরং সহীহ্‌ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নিচের আমলটি করুন:
i) ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ্‌ (আল্লাহ্‌ মহাপবিত্র) পড়ুন
ii) ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র) পড়ুন
iii) ৩৩ বার আল্লাহু আকবার (আল্লাহ্‌ সবচাইতে বড়) পড়ুন,
iv) ১ বার পড়ুন – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদির (আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো মা’বুদ নাই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নাই। সকল বাদশাহী এবং সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সবকিছুর উপর ক্ষমতাশালী ।)

ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া: নামাজের যে সব রাক’আতে ইমাম মনে মনে সূরা ফাতিহা পড়েন, যেমন, যোহর ও ‘আসরের নামাজে এবং মাগরিবের নামাজের তৃতীয় রাক’আতে, মুক্তাদি তথা ইমামের পিছনে যিনি নামাজ পড়ছেন তাকেও অবশ্যই মনে মনে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে, নাহলে তার নামাজ হবে না [৫]। কিন্তু, যে সব রাক’আতে ইমাম সশব্দে সূরা ফাতিহা পাঠ করেন সেই সব রাক’আতে নিজে সূরা ফাতিহা না পড়ে মনোযোগ দিয়ে ইমামের কিরাআত শুনলেও চলবে।

ইমামের পিছনে সশব্দে ‘আ-মিন’ বলা: ইমামের সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে জাহরী নামাজে (যেমন: মাগরিব, ‘ইশা ও ফজর) মুক্তাদিকে ইমামের সাথে সশব্দে টেনে ‘আ-মীন’ বলতে হবে। সিররি নামাজে (যেমন: যোহর এবং ‘আসর) ইমাম ও মুক্তাদিকে মনে মনে টেনে ‘আ-মীন’ বলতে হবে।

আশা করি, এই লেখাটি যারা পড়ছেন তাঁরা সবাই এবং আমি নিজে নামাজের প্রতি এখন থেকে আরও মনোযোগী হবো। আমরা যে-যেভাবেই এতদিন নামাজ পড়ে থাকি না কেন, আমাদের সবারই উচিত হবে নিজেকে সংশোধন করে নিয়ে সহীহ্‌ হাদিসের ভিত্তিতে নামাজ আদায় করার পদ্ধতি শিখে নেয়া।

বিঃ দ্রিঃ কেহ যদি ভুলিয়া কেবলা ঠিক করিতে না পারে তবে নিজের বিবেক যেই দিকে সাক্ষ্য যে, সেই দিকে মুখ করিয়া নামায পরিবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

জেনে নিন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সঠিক নিয়ত ও তাসবীহ

আপডেট সময় ০৯:২৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯
 ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ

নামাজ ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরয্‌। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। শাহাদাহ্‌ বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাই সকলের জন্য সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। জেনে নিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও বাংলায় মোনাজাত।

ফজরের নামাজ

ফজরের ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।)

ফজরের ২ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

বিশেয় দ্রষ্টব্যঃ  ইমামতি করিতে-আনা ইমামুল্লিমান হাজারা ও মাইয়্যাফজুরু সহ মুতাওয়াজ্জিহান বলতে হবে আর ইমামের পিছনে নামাজ পড়িতে হলে বলতে হবে(এক্তাদাইতু বিহা-যাল ইমামি মুতা ওয়াজ্জিহান…)

জোহরের নামাজ

জোহরের নাময মোট ১২ রাকাত। সূর্য মাথার উপর হইতে পশ্চিম্ দিকে একটু হেলিয়া পড়িলেই জোহরের নামাযের ওয়াক্ত আরম্ভ হয় এবং কোন কিছুর ছায়া দ্বিগুণ হইলে জোহরের ওয়াক্ত শেষ হইয়া যায়।

জোহরের ৪ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। )

জোহরের ৪ রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি ফারজুল্লাহি তাআলঅ মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

জোহরের ২ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতাই সালাতিজ জোহরি সুন্নাতি রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

জোহরের ২ রাকায়াত নফল নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল নাফলি মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

আছরের নামাজ

আছরের নামায মোট ৮ রাকাত। কোন লাকড়ির ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর হইতে সূর্যাস্তের ১৫/২০ মিনিট পূর্বে পর্যন্ত আছরের নামাযের সময় থাকে।

আছরের চার রাকায়াত সুন্নাত নামাযের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইত ুআন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকায়াতি সালাতিল আছরি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

আছরের চার রাকায়াত ফরজ নামাযের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইত ুআন্উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকায়াতি সালাতিল আছরি ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

মাগরিবের নামাজ

মাগরিবের নামায মোট ০৭ রাকায়াত। সূর্যাস্তের পর হইতে মাগরিবের নামাযের সময় হয় মাগরিবের ওয়াক্ত অতি অল্পকাল স্থায়ী।

মাগরিবের ৩ রাকায়াত ফরজ নামাযের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা ছালাছা রাকয়াতি সালাতিল মাগরিব ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

মাগরিবের ২ রাকায়াত সুন্নাত ফরজ নামাযের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল মাগরিবি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
উক্ত দুই রাকায়াত সুন্নত নামায শেষ হইলে দুই রাকয়াত নফল নামাজ পরিবেন।

এশার নামাজ

এশার ৪ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি এশায়ি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

এশার চার রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইত ুআন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি এশায়ি ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

এশার দুই রাকায়াত সুন্নাত নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতি সালাতিল এশায়ি সুন্নাতু রাসুূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

তিন রাকায়াত বেতের নামাজের নিয়ত

বাংলায় : (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা ছালাছা রাকায়াতি সালাতিল বিতরি ওয়াজিবুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তাসবিহ

১। ফজরের নামাজের তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম।)-তিনি চির জীবিত ও চিরস্থায়ী।
২। জোহরের নামাজের তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়াল আলিইয়্যাল আজীম)-তিনি শ্রেষ্ট্রতর অতি মহান।
৩। আছরের নামাজের তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়ার রাহমা- নুর রাহীম)-তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।
৪। মাগরিবের নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়াল গাফুরুর রাহীম)- তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।
৫। এশার নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ
বাংলায় : (হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর)- তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।

সালাম বাংলায় : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। )

মোনাজাত বাংলায় :

(রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াকিনা আজাবান্নার। ওয়া সাল্লাল্লাহু- তাআলা আলা খাইরি খালক্বিহী মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ-লিহি ওয়াআছহাবিহী আজমায়ীন। বিরাহমাতিকা ইয়া আরিহামার রাহিমীন।)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

নতুন নামাজীকে পুরানো নামাজের কাযা পড়তে হবে না: অনেকেই নামাজ পড়া শুরু করে না এই ভয়ে যে সারাজীবনে যা নামাজ miss হয়ে গেছে তার কাযা পড়তে হবে। হাদিস থেকে এরকম কোন বিধান পাওয়া যায় না। আপনি যদি আগে বেনামাজী হয়ে থাকেন আপনাকে আগের নামাজ কাযা পড়তে হবে না, কিন্তু আল্লাহ্‌র কাছে আন্তরিকতার সাথে তাওবাহ্‌ করতে হবে। তবে নিয়মিত নামাজী হওয়ার পর, কোন অপরাগতার কারণে যদি ২/১ বার কখনো নামাজ miss করে ফেলেন তখন সেটার কাযা পড়তে হবে ।

রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন: যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাক’আত (ফরজ বাদে অতিরিক্ত) নামাজ পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরী করা হবে। এই ১২ রাক’আত হলো: যোহর নামাজের আগে ৪, পরে ২ রাক’আত, মাগরিবের নামাজের পরে ২ রাক’আত, ইশা এর নামাজের পরে ২ রাক’আত এবং ফজরের নামাজের আগে ২ রাক’আত। – (তিরমিযী ৩৮০, সহীহ আল জামি’ ৬৩৬২, হাদিসটি সহীহ)

আরবীতে নামাজের নিয়ত পড়ার দরকার নেই: আরবীতের নামাজের নিয়ত পড়ার বা মৌখিক ভাবে নিয়ত উচ্চারণ করার কোন বাধ্য বাধকতা নাই, বরং এটা বিদ’আত (বিদ’আত: ধর্মে নতুন সংযোজন যা রাসূলুল্লাহ(সা) বা তাঁর অনুগত সাহাবাদের দ্বারা প্রমাণিত নয়)। নিয়ত করা একটি অন্তর্গত ব্যাপার। আপনি মনে মনে নিজের ভাষায় নামাজের উদ্দেশ্য পোষণ করলেই নিয়ত হয়ে যাবে।

নামাজে চার বার হাত তোলা: নামাজে উভয় হাত কানের লতি বা কাঁধ পর্যন্ত তোলাকে রাফ’উল ইয়াদাইন বলে। প্রচলিত ভাবে আমরা শুধু মাত্র ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামাজের শুরুতে হাত বাঁধার সময় কাঁধ পর্যন্ত দুই হাত তুলি। এটা ঠিক আছে, কিন্তু ইমাম বুখারীর সহীহ হাদিস অনুসারে রাসূলুল্লাহ(সা) আরও তিন সময় হাত তুলতেনঃ
i) সামি’আল্লা হুলিমান হামিদাহ্‌ বলে রুকু’তে যাওয়ার সময়
ii) রাব্বানা লাকাল হামদ্‌ বলে রুকু থেকে উঠার সময়
iii) দ্বিতীয় রাক’আতের আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পরে তৃতীয় রাক’আতের শুরুতে আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাড়ানোর সময়।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত এই হাত তোলা মুস্তাহাব, কেউ না তুললেও তার নামাজ হবে, কিন্তু যে তুলবে সে ইনশা আল্লাহ্‌ অনেক সাওয়াব পাবে।

সিজদায় দু’আ করা: আমাদের অনেকেরই জানা নাই যে সিজদারত অবস্থায় নিজের ভাষায় দু’আ করা যায়। রাসূলুল্লাহ(সা) বলেছেন যে, বান্দা আল্লাহ্‌র সবচেয়ে কাছে থাকে সিজদারত অবস্থায়, তাই তিনি সিজদায় থাকাকালে বেশী করে দু’আ করতে বলেছেন (সহীহ্‌ মুসলিম)।

তাশাহ্‌হুদের সময় তর্জনী তোলা: নামাজের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ রাক’আতে বসে বসে তাশাহ্‌হুদ তথা আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় আমরা কেউ ডান হাতের তর্জনী তুলি, কেউ তুলি না, আবার কেউ শুধু ‘আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার সময় তর্জনী তুলি – এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশীরভাগ মুসলিমই confused থাকে। সঠিক পদ্ধতি হলো যে, এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ(সা) এর সুন্নাত দুইরকমঃ
i) সমস্ত তাশাহহুদের সময় ডান হাতের মুঠি প্রায় বন্ধ করে তর্জনী কিবলার দিকে করে স্থির রাখা
ii) সমস্ত তাশাহহুদের সময় ডান হাতের মুঠি প্রায় বন্ধ করে তর্জনী কিবলার দিকে করে স্থির না রেখে অল্প একটু উপরে নিচে করে নাড়তে থাকা।

উল্লেখ্য যে, তর্জনী নাড়ানোর এই পদ্ধতিটিও মুস্তাহাব। অর্থাৎ, কেউ একেবারেই তর্জনী না উঠালে গুনাহগার হবে না, কিন্তু কেউ এটা করলে সাওয়াব পাবে ইনশা আল্লাহ্‌।

মুনাজাত নামাজের অংশ নয়: মুনাজাতকে নামাজের অংশ মনে করা এবং নামাজ শেষে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা বিদ’আত এবং স্পষ্ট ভ্রষ্টতা[১০]। নামাজ শেষে মুনাজাত না করে বরং সহীহ্‌ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নিচের আমলটি করুন:
i) ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ্‌ (আল্লাহ্‌ মহাপবিত্র) পড়ুন
ii) ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র) পড়ুন
iii) ৩৩ বার আল্লাহু আকবার (আল্লাহ্‌ সবচাইতে বড়) পড়ুন,
iv) ১ বার পড়ুন – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদির (আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো মা’বুদ নাই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নাই। সকল বাদশাহী এবং সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সবকিছুর উপর ক্ষমতাশালী ।)

ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া: নামাজের যে সব রাক’আতে ইমাম মনে মনে সূরা ফাতিহা পড়েন, যেমন, যোহর ও ‘আসরের নামাজে এবং মাগরিবের নামাজের তৃতীয় রাক’আতে, মুক্তাদি তথা ইমামের পিছনে যিনি নামাজ পড়ছেন তাকেও অবশ্যই মনে মনে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে, নাহলে তার নামাজ হবে না [৫]। কিন্তু, যে সব রাক’আতে ইমাম সশব্দে সূরা ফাতিহা পাঠ করেন সেই সব রাক’আতে নিজে সূরা ফাতিহা না পড়ে মনোযোগ দিয়ে ইমামের কিরাআত শুনলেও চলবে।

ইমামের পিছনে সশব্দে ‘আ-মিন’ বলা: ইমামের সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে জাহরী নামাজে (যেমন: মাগরিব, ‘ইশা ও ফজর) মুক্তাদিকে ইমামের সাথে সশব্দে টেনে ‘আ-মীন’ বলতে হবে। সিররি নামাজে (যেমন: যোহর এবং ‘আসর) ইমাম ও মুক্তাদিকে মনে মনে টেনে ‘আ-মীন’ বলতে হবে।

আশা করি, এই লেখাটি যারা পড়ছেন তাঁরা সবাই এবং আমি নিজে নামাজের প্রতি এখন থেকে আরও মনোযোগী হবো। আমরা যে-যেভাবেই এতদিন নামাজ পড়ে থাকি না কেন, আমাদের সবারই উচিত হবে নিজেকে সংশোধন করে নিয়ে সহীহ্‌ হাদিসের ভিত্তিতে নামাজ আদায় করার পদ্ধতি শিখে নেয়া।

বিঃ দ্রিঃ কেহ যদি ভুলিয়া কেবলা ঠিক করিতে না পারে তবে নিজের বিবেক যেই দিকে সাক্ষ্য যে, সেই দিকে মুখ করিয়া নামায পরিবে।