মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
রোজ শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৬ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম)ঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর সদরের বিএনপির সম্ভাব্য ইউপি মেম্বার প্রার্থীর ভাই আতিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইয়াবা টেবলেট রাখার অভিযোগ দেখিয়ে আদালতে চালান করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা-ব্রাক্ষণবাড়িয়া সড়ক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। পরে ৪’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার অভিযোগে দেখিয়ে পুলিশ তাকে কোর্টে চালান করে।
আতিকের বড় ভাই সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী এনামুল হকও পুলিশের বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন।
ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভাইকে মামলায় ঢুকিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর পর আতিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আতিকের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, আতিককে গ্রেফতার করার আগে তাকে নানাভাবে হুমকী ধামকি দেয়া হচ্ছিল, সে যাতে বিএনপি বাদ দিয়ে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেয়। কিন্তু আতিক এতে রাজি না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ সড়ক দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কিছু ছেলে বয়সী সাদা পোশাকধারী রাস্তা থেকে তাকে ঝাপটে ধরে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। আমরা এই খবর পাওয়ার পর মুরাদনগর থানায় যাই জিডি করার জন্য। পুলিশ জিডি না নিয়ে ৪/৫ ঘন্টা পরে তাদের জানায় আতিক দেবিদ্বার থানায় আছে। ওই থানায় গিয়ে আমরা পুলিশকে বলি আতিক তিনটি রাজনৈতিক মামলায় জামিনে আছে, কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ আমাদেরকে তখন কিছু বলেনি, কিন্তু পরের দিন আমরা জানতে পারি পুলিশ তাকে ইয়াবা মামলায় কোর্টে চালান দিয়েছে।
আতিকের পরিবারের সদস্যরা আরো অভিযোগ করেছেন, এ ঘটনার পরে এনামুলের ট্রাকটর চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আতিকের মা জানিয়েছেন, এনামুল ও আতিক মাছের ব্যবসা করে সংসার চালায়। এছাড়া আতিক ছোট বেলা থেকেই হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। আতিককে নিয়ে এখন খুবই চিন্তায় পরেছেন তিনি।
মুরাদনগর বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন অঞ্জন ও সেক্রেটারী মোল্লা মুজিব এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে আতিক ও এনামুলের মুক্তি দাবি করেছেন।
এদিকে আতিকের সাথে থাকা সাদেককেও ওই একই মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। সাদেককে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় মুরাদনগরে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।