ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টনকী প্রাথমিক বিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে মুরাদনগর উপজেলার টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৬ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, দ্যিালয়, ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, কর্মকর্তা, কাবশিক্ষ ও কর্মচারী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো: মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ প্রতিযোগিতা পর্যালোচনা করে মুরাদনগর উপজেলার টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যারয়কে বিভাগীয় শেষ্ঠ বিদ্যালয় গিসেবে ঘোষনা করেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে একটি চিঠি পায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকল গাজীউল হক চৌধুরী।

এদিকে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হওয়ায় মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবিন্দু, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণসহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন এ সাফল্যেও জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এই বিদ্যালয়টি এ বছর ও গত বছরও জেলার শ্রেষ্ঠ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছিল। টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পর দু’বার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।।

জানা যায়, গাজীউল হক চৌধুরী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিদ্যালয়টিতে ১৪ জন শিক্ষক ও প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত  ৯২০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছর সমাপনি পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি উপজেলার সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ ও বৃত্তিসহ শতভাগ শিক্ষার্থী সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হয়ে আসছে।

শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, একটি আদর্শ ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাক্-প্রাথমিকে শ্রেণিকক্ষ সাজানো, বিদ্যালয়ের আঙিনায় বাগান সৃজন, শিক্ষকদের উন্নত পাঠদান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার, নিয়মিত খেলাধুলা, শিক্ষকদের নৈমিত্তিক ছুটি ও ভালো ফলাফল বিবেচনায় নেওয়া হয়।

প্রধান শিক্ষক গাজীউল হক চৌধুরী জানান, এ বিদ্যালয়টি মুরাদনগর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে নির্বাচিত হয়ে পরে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সহযোগিতায়ই বিদ্যালয়টি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করাগেছে। বিদ্যালয়টি আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহাবুব আলম বলেন, বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড বিবেচনা করে বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ঘোষণা করা হয়ে থাকে। টনকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের সব শর্ত পূরণ করেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

টনকী প্রাথমিক বিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় ১০:০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে মুরাদনগর উপজেলার টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৬ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, দ্যিালয়, ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, কর্মকর্তা, কাবশিক্ষ ও কর্মচারী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো: মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ প্রতিযোগিতা পর্যালোচনা করে মুরাদনগর উপজেলার টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যারয়কে বিভাগীয় শেষ্ঠ বিদ্যালয় গিসেবে ঘোষনা করেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে একটি চিঠি পায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকল গাজীউল হক চৌধুরী।

এদিকে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হওয়ায় মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবিন্দু, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণসহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন এ সাফল্যেও জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এই বিদ্যালয়টি এ বছর ও গত বছরও জেলার শ্রেষ্ঠ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছিল। টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পর দু’বার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।।

জানা যায়, গাজীউল হক চৌধুরী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিদ্যালয়টিতে ১৪ জন শিক্ষক ও প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত  ৯২০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতি বছর সমাপনি পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি উপজেলার সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ ও বৃত্তিসহ শতভাগ শিক্ষার্থী সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হয়ে আসছে।

শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, একটি আদর্শ ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাক্-প্রাথমিকে শ্রেণিকক্ষ সাজানো, বিদ্যালয়ের আঙিনায় বাগান সৃজন, শিক্ষকদের উন্নত পাঠদান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার, নিয়মিত খেলাধুলা, শিক্ষকদের নৈমিত্তিক ছুটি ও ভালো ফলাফল বিবেচনায় নেওয়া হয়।

প্রধান শিক্ষক গাজীউল হক চৌধুরী জানান, এ বিদ্যালয়টি মুরাদনগর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে নির্বাচিত হয়ে পরে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সহযোগিতায়ই বিদ্যালয়টি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করাগেছে। বিদ্যালয়টি আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহাবুব আলম বলেন, বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড বিবেচনা করে বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ঘোষণা করা হয়ে থাকে। টনকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের সব শর্ত পূরণ করেছে।