মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ৮৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ফলাফল মহাবিপর্যয় হয়েছে। বিগত ৫ বছরের তুলনায় পাশের হার কমেছে। এ বছর মুরাদনগর উপজেলায় পাশের হার মাত্র ৩৫ দশমিক ১২। যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম। ইংরেজী ও গণিত বিষয়ের ফলাফল খারাপ হওয়ায় ও নকল প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রদক্ষেপের ফলে পাশের হারে ধস নেমেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৩৩.৯৫% ও মাদ্রাসায় পাশের হার ৪১.১৭%। এর মধ্যে এসএসসি তে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২জন, দাখিলে কোন জিপিএ-৫ নেই।
জানা যায়, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ৫০টি বিদ্যালয়ের এসএসসি ও ৩৫টি মাদ্রাসার দাখিল পরক্ষিায় ৭ হাজার ৮ শত ২৬ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে এসএসসিতে ৬ হাজার ৫ শত ৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ২ হাজার ২ শত ৩৬ জন শিক্ষার্থী পাশ করে। এবং দাখিল পরীক্ষায় ১ হাজার ২ শত ৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৫ শত ১১ জন শিক্ষার্থী পাশ করে।
এর মধ্যে উপজেলার এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে পাচঁপুকুরিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়। ২২৭ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ১ শত ১ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৬৬.৪৬%। ২য় স্থান অর্জন করে গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। ১৩৪ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ৮৩ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৬১.৯৪%। ৩য় স্থান অর্জন করে কামারচর উচ্চ বিদ্যালয়। ৬০ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ৩৪ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৫৬.২৪%। এবং দাখিল পরীক্ষায় পাশের হার থেকে প্রথম স্থান অর্জন কওে শুশুন্ডা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। ৪৩ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ৩৬ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৮৩.৭২%। ২য় স্থান অর্জন কওে নবীয়াবাদ আ: ওযাদুত সরকার ফাজির মাদ্রাসা ৪৭ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ৩৭ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৭৮.৭২%। ৩য় স্থান অর্জন করে কামাল্লা মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা। ৪২ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ২৯ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৬৯.০৪%।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সফিউল আলম তালুকদার জানান, গণিত ও ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষার্থীরা খারাপ ফলাফল করেছে। যার প্রভাব পড়েছে পাশের হারে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, পরীক্ষার এমন ফলাফলে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। নকল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহন ও শিক্ষকদের থেকে পরীক্ষার্থীরা কোন সহযোগিতা পায়নি। যারা নকল মুক্ত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে সেই পরীক্ষার্থীরাই কৃতকার্য হয়েছে। আমি আশা করব যারা অকৃতকার্য হয়েছে তারা আগামী পরীক্ষায় নকল পরিহার করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হবে।