মো: নাজিম উদ্দিনঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে সরকারি খাস জমি ড্রেজারের মাধ্যমে ভরাট করে দখলের কারনে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পানিদে ডুবে রয়েছে প্রায় ১শ একর ফসলি জমি। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় প্রায় দু’শতাধিক কৃষক পরিবার ও জমির মালিকরা।
জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জমিতে রোপনকৃত প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট হয়েগেছে।
অপর দিকে জলাবদ্ধতার ফলে উচু জমির ফসল কেটে বাড়ীতে নিতে কৃষকের খরচ বেড়েছে প্রায় তিন গুন। এই মৌসুমে যেখানে জমি শুকনো থাকার কথা সেই জমিতে এখন কোমর সমান পানি। জলাবদ্ধতার ফলে শুকনো জমি গুলোতে যাতায়াত করতে নানান দূর্ভোগ পোহাতে হচ্চে কৃষকদের।
জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার মৃত চেরাগ আলী মুন্সীর ছেলে আবদুল কাদির, মৃত রেহমত আলীর ছেলে আলী আকবর, মৃত শের আলীর ছেলে শাহ আলম, আয়েব আলীর ছেলে আল-আমিন ও মৃত মোনাফ মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া ড্রেজারের মাধ্যমে সরকারি খাস জমি ভরাট করে নিচু ফসলি জমিগুলোর পানি নিস্কাশনের খাল দখল করায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মাটি ভরাটের সময় স্থানীয় কৃষক ও জমির মালিকরা বাধা প্রদান করলেও তা কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি খাস জমি ভরাট করে নিজেদের দখলে নিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানায়।
স্থানীয় কৃষক ফেরদৌস মিয়া বলেন, আমদের অনেক জমি এখন পানির নিচে ডুবে রয়েছে, নষ্ট হয়েছে অনেক ফসল ও সবজি। আমরা দ্রুত এই অবস্থা থেকে পরিত্রান চাই। প্রশাসন কৃসকদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করে স্বাভাবিক চাষাবাদ করার ব্যবস্থা করে এই দাবি সকলের।
খাস জমি দখলকারী অভিযুক্ত কাদির মিয়া বলেন, দুই পাশে আমার জায়গা রয়েছে তাই খাস জমি ভরাট করেছি। ভরাটের বিষয়টি ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসিলদার) অবগত রয়েছেন বলে তিনি জানান। জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন আমি প্রয়োজনে মাটি কেটে নিচে পাইপ লাগিয়ে দিব।
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাশেদা আক্তার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে সরকারি খাস জমি উদ্ধার এবং ফসলি জমির জলাবদ্ধতা দুর করনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।