তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। এ বছর দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রমজানের ১৩ থেকেই উপজেলা বস্ত বিতানগুলোতে ক্রেতারা ভিড় করছে। কিশোরী ও তরুণীদের পছন্দ চুমকির কাজ করা থ্রি-পিস আর কিশোর ও তরুণদের পাঞ্জাবি ও ফতুয়া।
উপজেলা সদরের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর উপজেলা সদরের হোমনা বাজারের ব্যবসায়ীরা অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি দেশি পোশাক বিক্রি করছেন। এ বছর তাঁরা শিশুদের জন্য শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, পাজামা, ছেলেদের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, নানা নকশার টি-শার্ট এবং মেয়েদের জন্য ফ্রগ, স্কার্ট, লেহেঙ্গা, থ্রি- পিসসহ নানা নজরকাড়া পোশাক এনেছেন।
এদিকে দুলালপুর বাজারের পোশাকের দামের বিষয়ে মা ফ্যাশানের মো. ইকবাল হোসেন, ভাই ভাই বস্ত বিতান মো. নুর মোহমদ জানান, শিশুদের সুতি কাপড়ের দাম ২০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, জর্জেট কাপড়ের শার্টের দাম ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। দেশি সুতি কাপড়ের শার্ট পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার চাহিদা কিশোর ও তরুণদের কাছে বেশি। এসব পোশাকের দাম সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাধ্যের মধ্যেই আছে। পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার দাম ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তরুণীদের পছন্দ সুতি ও জর্জেট কাপড়ের থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা। এসব পোশাকের দাম ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আগের তুলনায় শাড়ির চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। তবে টাঙ্গাইলের শাড়ির কদর আছে। শার্ট আর পাঞ্জাবির সঙ্গে লুঙ্গির চাহিদাও অনেক। লুঙ্গি ৩০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দিকে উপজেলা সদরের হোমনার শপিং মল, দুলালপুর বাজার, রামকৃষ্ণপুর বাজার, ঘনিয়ারচর বাজার আছাদপুর বাজার ,কাশিপুর বাজার, মনিপুর বাজার,চান্দেরচর বাজার,শ্ররীপুর বাজার সহ বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, কাপড় ও জুতার দোকানে শত শত ক্রেতার ভিড়। এর মধ্যে নারী ক্রেতাই বেশি। কিন্তু গত বছর চেয়ে এবার প্রচন্ড গরম হওয়া ক্রেতার এখনো মার্কেট আসতে পারচ্ছে না। ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানত পারি যে , এবার প্রচন্ড গরম থাকায় রোজা রেখে মাকের্ট আসতে কষ্ঠ হয় বলে জানান।