ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় মহিমা আক্তার (১১) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের লাশ গুম করার সময় স্থানীয়রা মো. ইউছুফ (২৫) নামে একজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহত মহিমা আক্তার সদর উপজেলার ডুমরিয়া চাঁনপুর এলাকার মহিউদ্দিনের মেয়ে। শুক্রবার দুপুরে কুমেক হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলা দয়াপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত ইউছুফ  দীর্ঘদিন যাবত চাঁনপুর এলাকায় সপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে সে মহিমাকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। মহিমার স্বজনরা  তাকে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ইউছুফ নগরীর পুরাতন গোমতী নদীতে লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়া হয়। পরে সে মহিমাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতককে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন জানান, ঘাতক ইউসুফকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয়ায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, ওই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে নিহতের নানা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ইত্তেফাক
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা

আপডেট সময় ০৩:৫০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০১৭
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় মহিমা আক্তার (১১) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের লাশ গুম করার সময় স্থানীয়রা মো. ইউছুফ (২৫) নামে একজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহত মহিমা আক্তার সদর উপজেলার ডুমরিয়া চাঁনপুর এলাকার মহিউদ্দিনের মেয়ে। শুক্রবার দুপুরে কুমেক হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলা দয়াপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত ইউছুফ  দীর্ঘদিন যাবত চাঁনপুর এলাকায় সপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে সে মহিমাকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। মহিমার স্বজনরা  তাকে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ইউছুফ নগরীর পুরাতন গোমতী নদীতে লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়া হয়। পরে সে মহিমাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতককে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন জানান, ঘাতক ইউসুফকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয়ায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, ওই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে নিহতের নানা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ইত্তেফাক