ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিঘ্ন সৃষ্টিকারী, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে প্রতিবন্ধকতা তৈরিকরণ ও উপাচার্যের সঙ্গে অসদাচরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রসাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ (একাংশ)। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) সহ-সভাপতি শুভব্রত সাহার সঞ্চালনায় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি দুলাল চন্দ্র নন্দী, সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি. এম আজমল আলী কাউসার, সহকারী অধ্যাপক মাকসুদুল করিম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. হাসান হাফিজুর রহমান,বাংলা বিভাগের প্রভাষক সোমাইয়া আফরিন সানীসহ পরিষদভুক্ত শিক্ষকবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প চলমান। যদি এই প্রকল্প কাজে না লাগানো যায় তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। কাজ করা যাবে না। কিন্তু একটি মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

বক্তারা বলেন, যারা এখন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বিরোধীতা করছেন এক সময় তারাই উপাচার্যের প্রথম সাড়ে তিন বছর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু এখন সুবিধা না পেয়ে উপাচার্যের বিরোধিতা করছেন। নানা অপকর্মের মাধ্যমে তারাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে কলঙ্কিত করছেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে কিছু ত্রম্নটি ছিল। এই ত্রম্নটির জন্য দায়ি শিল্পী মৃণাল হক। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি এবং সেটি প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।

এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডেরে সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিও জানায় বক্তারা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ২০ লাখ টাকা ব্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্য একটি অংশ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তা প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০২:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিঘ্ন সৃষ্টিকারী, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে প্রতিবন্ধকতা তৈরিকরণ ও উপাচার্যের সঙ্গে অসদাচরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রসাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ (একাংশ)। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) সহ-সভাপতি শুভব্রত সাহার সঞ্চালনায় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি দুলাল চন্দ্র নন্দী, সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি. এম আজমল আলী কাউসার, সহকারী অধ্যাপক মাকসুদুল করিম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. হাসান হাফিজুর রহমান,বাংলা বিভাগের প্রভাষক সোমাইয়া আফরিন সানীসহ পরিষদভুক্ত শিক্ষকবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প চলমান। যদি এই প্রকল্প কাজে না লাগানো যায় তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। কাজ করা যাবে না। কিন্তু একটি মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

বক্তারা বলেন, যারা এখন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বিরোধীতা করছেন এক সময় তারাই উপাচার্যের প্রথম সাড়ে তিন বছর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু এখন সুবিধা না পেয়ে উপাচার্যের বিরোধিতা করছেন। নানা অপকর্মের মাধ্যমে তারাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে কলঙ্কিত করছেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে কিছু ত্রম্নটি ছিল। এই ত্রম্নটির জন্য দায়ি শিল্পী মৃণাল হক। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি এবং সেটি প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।

এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডেরে সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিও জানায় বক্তারা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ২০ লাখ টাকা ব্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্য একটি অংশ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তা প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।