ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

মাহাবুব আলম আরিফঃ

কুমিল্লা কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার একমাত্র সরকারি স্কুল ডিআর উচ্চ বিদ্যালয়ের বেরিবাধ সড়কের পাশে একটি ডোবা ও অনেকটা পতিত জায়গায় দীর্ঘদিন যাবৎ ময়লা-আর্বজনার ভাগারে পরিণত হয়েছে। ওই স্থানে প্রতিনিয়ত অরক্ষিত ভাবে ময়লা-আবর্জনা উপজেলা সদর বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাশা পাশি পচা বর্জ্যে মশার উপদ্রবও দেখা দিয়েছে। সেখান থেকে আসা দুর্গন্ধে পাশে থাকা তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। তাছাড়া ওই সকল পচা দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হওয়ায় রোগ-ব্যাধির সৃষ্ঠি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডিআর সরকারি উচ্চ রোড নামে পরিচিত গৌমতি নদীর বেরিবাধ সড়কটির দক্ষিন পাশে একটি ডোবাসহ বেশ অনেক খানি খালি জায়গায় মুরাদনগর সদর বাজারের ও সদর এলাকার বাসা-বাড়ির ময়লা ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন যানে করে। ময়লার ওই স্তুপটির পাশা পাশি উল্টো পাশেই রয়েছে মুরাদনগর ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডি আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুরাদনগর থানা। পশ্চিম পাশে রয়েছে মাষ্টার পাড়া নামের বড় একটি আবাসিক এলাকা। তাই প্রতিদিনই এ সড়কটি দিয়ে ঐ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ওই এলাকার জনসাধারনের দুর্গন্ধময় স্তুপের পাশ দিয়ে নাকে-মুখে হাতদিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এর পাশা পাশি তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রায় সমই নাকে-মুখে হাত দিয়ে শ্রেনী কক্ষের পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ময়লার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ক্লাসরোমেই বমি করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। এতে করে শিক্ষার্থীদেরর পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে।

মুরাদনগর ডি আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: শাজাহান বলেন, ‘দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’

মুরাদনগর বাজার কমিটির সভাপতি আক্তার মেম্বার বলেন, ময়লা ফেলার কোন নির্ধারিত স্থান নেই। তবে বাজারের ময়লা বাসষ্টেন্ডের পাশে জেলাপরিষদের জায়গায় ফালানো হচ্ছে। হাইস্কুল রোডে কারা ময়লা ফালায় তা আমার জানা নেই।

মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দু:খ জনক। আমাকে কেউ এ বিষযে অবহিত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে শিঘ্রই প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

আপডেট সময় ০৪:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭
মাহাবুব আলম আরিফঃ

কুমিল্লা কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার একমাত্র সরকারি স্কুল ডিআর উচ্চ বিদ্যালয়ের বেরিবাধ সড়কের পাশে একটি ডোবা ও অনেকটা পতিত জায়গায় দীর্ঘদিন যাবৎ ময়লা-আর্বজনার ভাগারে পরিণত হয়েছে। ওই স্থানে প্রতিনিয়ত অরক্ষিত ভাবে ময়লা-আবর্জনা উপজেলা সদর বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাশা পাশি পচা বর্জ্যে মশার উপদ্রবও দেখা দিয়েছে। সেখান থেকে আসা দুর্গন্ধে পাশে থাকা তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। তাছাড়া ওই সকল পচা দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হওয়ায় রোগ-ব্যাধির সৃষ্ঠি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ডিআর সরকারি উচ্চ রোড নামে পরিচিত গৌমতি নদীর বেরিবাধ সড়কটির দক্ষিন পাশে একটি ডোবাসহ বেশ অনেক খানি খালি জায়গায় মুরাদনগর সদর বাজারের ও সদর এলাকার বাসা-বাড়ির ময়লা ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন যানে করে। ময়লার ওই স্তুপটির পাশা পাশি উল্টো পাশেই রয়েছে মুরাদনগর ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মুরাদনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডি আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, নুরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুরাদনগর থানা। পশ্চিম পাশে রয়েছে মাষ্টার পাড়া নামের বড় একটি আবাসিক এলাকা। তাই প্রতিদিনই এ সড়কটি দিয়ে ঐ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ওই এলাকার জনসাধারনের দুর্গন্ধময় স্তুপের পাশ দিয়ে নাকে-মুখে হাতদিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এর পাশা পাশি তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রায় সমই নাকে-মুখে হাত দিয়ে শ্রেনী কক্ষের পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ময়লার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ক্লাসরোমেই বমি করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। এতে করে শিক্ষার্থীদেরর পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে।

মুরাদনগর ডি আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: শাজাহান বলেন, ‘দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’

মুরাদনগর বাজার কমিটির সভাপতি আক্তার মেম্বার বলেন, ময়লা ফেলার কোন নির্ধারিত স্থান নেই। তবে বাজারের ময়লা বাসষ্টেন্ডের পাশে জেলাপরিষদের জায়গায় ফালানো হচ্ছে। হাইস্কুল রোডে কারা ময়লা ফালায় তা আমার জানা নেই।

মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দু:খ জনক। আমাকে কেউ এ বিষযে অবহিত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে শিঘ্রই প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।