ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিসের ঘুষের গোপন তহবিল

মোঃ আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রতিদিন আদায় করা টাকা জমা থাকে নাজির দেলোয়ার হোসেনের কাছে। সপ্তাহান্তে (বৃহস্পতিবার অথবা রবিবার) এই টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয়।
 
মোট টাকার ২৫ শতাংশ পান এলএমএসএস (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা), ৫০ শতাংশ পান পাঁচ অফিস সহকারী। বাকি ২৫ শতাংশের মধ্যে বেশির ভাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির (এসি ল্যান্ড)। এর মধ্যে কিছু টাকা ঝুঁকি ঠেকাতে গচ্ছিত রাখা হয়। এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ম্যানেজের জন্য।
 
উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫) জানান, তাঁর ক্যান্সার হয়েছে। বাবার বসতভিটা ও সামান্য একটু কৃষিজমি একমাত্র সম্বল। চিকিৎসার জন্য সেই জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। জমি খারিজ করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে যান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার এক মাস পর গিয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারী সালাউদ্দিন জানান, ‘আপনার ফাইল ম্যাডামের টেবিলে।’ জালাল এসি ল্যান্ডের কক্ষে গিয়ে তাঁর জমা খারিজটি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এসি ল্যান্ড বলেন, ‘আমাকে বিরক্ত করবেন না। আমার অনেক কাজ আছে। আপনি এখন যান।’ এটা শুনে জালাল বলেন, ‘ম্যাডাম, আমি তো অন্য লোকেদের মতো না। ক্যান্সারে আক্রান্ত। যদি কাজটি করে দেন, আমার খুব উপকার হবে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। তাই জমি বিক্রি করব।’ এসি ল্যান্ড রেগে গিয়ে বলেন, ‘আপনার ক্যান্সার তো আমার কী হয়েছে? বেশি কথা বললে আপনার খারিজ এখন বাতিল করে দেব।’ এরপর তিনি কাঁদতে কাঁদতে ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন।
 
যাত্রাপুর গ্রামের সুরেন্দ্র চন্দ্র বণিক রায়ের ছেলে পবিত্র রঞ্জন বণিক রায় জানান, প্রতিবেশীর সঙ্গে জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে বাবা উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন। আদালত বাবার পক্ষে রায় দেন। রায় পেয়ে নামজারি জমা খারিজের আবেদন করেন। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চার মাস ধরে তা ফেলে রেখেছেন এসি ল্যান্ড।
 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নামজারি জমা খারিজ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল প্রায় সাড়ে আট হাজার। তখন এসি ল্যান্ড ছিলেন মোহাম্মদ আজগর আলী। তিনি বদলি হওয়ার পর তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব নেন মোসাম্মত্ রাশেদা আক্তার। তাঁর সময়ে (২০১৬-১৭ অর্থবছর) চার হাজার নামজারি জমা খারিজ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আগের অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা কমে ৪৩ লাখ টাকার কাছাকাছি নেমে এসেছে। এই অর্থবছরে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
 
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, নামজারি জমা খারিজের ডিসিআর (রশিদ) বাবদ সরকারি ফি এক হাজার ১৫০ টাকা। সেখানে নেওয়া হয় এক হাজার ৫০০ টাকা। গত দুই অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার নামজারি খারিজ থেকে (৩৫০ টাকা করে) প্রায় ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত নিয়েছে ভূমি অফিস।
 
ভুক্তভোগীরা জানায়, ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নথিভুক্ত হওয়া প্রায় ৬৫টি নামজারি জমা খারিজ মামলা ফেলে রাখা হয়েছে। এসি ল্যান্ড নামজারি জমা খারিজ জমা নেন। তাঁর অবর্তমানে নেই কোনো প্রতিনিধি। নানা কাজে তাঁকে সপ্তাহে দু-তিন দিন অফিসের বাইরে থাকতে হয়। এ কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
 
জানঘর গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, ‘উপজেলার শেষ প্রান্তে আমার বাড়ি। পর পর তিন দিন ভূমি অফিসে আসার পর আমার জমা খারিজের আবেদনটি জমা দিতে পেরেছি।’
 
রামচন্দ্রপুর দিঘলদী গ্রামের আলী নেওয়াজের ছেলে রবি মিয়া বলেন, ‘আমার জমা খারিজটি সঠিক কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বাতিল করে দিয়েছে। বাতিলের কারণ জানতে চাইলে অফিস আমাকে কোনো সঠিক উত্তর দেয়নি।’
 
ভুক্তভোগী আবদুল মালেক, মোসলেম উদ্দিন, আয়েত আলী, রফিক মিয়া, আবদুল মোতালেব, মো. শাহজাহান, ইয়ার হোসেন, মোশারফ মিয়া ও রুবেল মিয়া বলেন, ‘গত ১৬ মে চট্টগ্রাম বিভাগের উপভূমি সংস্কার কমিশনার গোলাম মাওলা মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শনে আসেন। খবর পেয়ে আমরা ৫০-৬০ জন অভিযোগ করার জন্য ভূমি অফিসের গেটে জড়ো হয়েছিলাম। কর্মচারীরা অফিসের গেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এ কারণে আমরা অভিযোগ জানাতে পারিনি।’
 
ঘুষের তহবিল সম্পর্কে ভূমি অফিসের নাজির দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এগুলো আগে ছিল। এখন এমন কিছু নেই।’
 
মুরাদনগর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ‘জমির সাফকবলা দলিল করতে হলে খারিজের প্রয়োজন হয়। আর খারিজ না করতে পারলে ক্রেতা ও বিক্রেতা দানপত্রের আশ্রয় নেন। তাতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়।’
 
মুরাদনগরের এসি ল্যান্ড মোসাম্মদ রাশেদা আক্তার বলেন, ‘আমার অফিসে জমা খারিজ করতে এসে কেউ ভোগান্তির শিকার হয়নি। আর গত বছরের তুলনায় এ বছর জমা খারিজ কম হলে সেটা তো আর আমার বিষয় নয়। যারা খারিজের জন্য আসছে, আমি তাদের খারিজ করে দিয়েছি।’ প্রতিটি জমা খারিজ থেকে অতিরিক্ত ৩৫০ টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অফিসে চার্ট টাঙিয়ে দিয়েছি। প্রতিটি জমা খারিজ সরকারি ফি ১১শ ৫০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে—এমন অভিযোগ কেউ আমার কাছে করেনি।’
 
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, ‘অফিসের কারো অবহেলায় সরকার যদি রাজস্ব হারায়, তাহলে বিষয়টি মারাত্মক অনিয়মের মধ্যে পড়ে। আর প্রতিটি জমা খারিজে ৩৫০ টাকা করে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। ভূমি অফিসের সব বিষয় আমি খতিয়ে দেখব।’
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিসের ঘুষের গোপন তহবিল

আপডেট সময় ০৭:৩০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০১৭
মোঃ আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রতিদিন আদায় করা টাকা জমা থাকে নাজির দেলোয়ার হোসেনের কাছে। সপ্তাহান্তে (বৃহস্পতিবার অথবা রবিবার) এই টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয়।
 
মোট টাকার ২৫ শতাংশ পান এলএমএসএস (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা), ৫০ শতাংশ পান পাঁচ অফিস সহকারী। বাকি ২৫ শতাংশের মধ্যে বেশির ভাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির (এসি ল্যান্ড)। এর মধ্যে কিছু টাকা ঝুঁকি ঠেকাতে গচ্ছিত রাখা হয়। এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ম্যানেজের জন্য।
 
উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫) জানান, তাঁর ক্যান্সার হয়েছে। বাবার বসতভিটা ও সামান্য একটু কৃষিজমি একমাত্র সম্বল। চিকিৎসার জন্য সেই জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। জমি খারিজ করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে যান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার এক মাস পর গিয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারী সালাউদ্দিন জানান, ‘আপনার ফাইল ম্যাডামের টেবিলে।’ জালাল এসি ল্যান্ডের কক্ষে গিয়ে তাঁর জমা খারিজটি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এসি ল্যান্ড বলেন, ‘আমাকে বিরক্ত করবেন না। আমার অনেক কাজ আছে। আপনি এখন যান।’ এটা শুনে জালাল বলেন, ‘ম্যাডাম, আমি তো অন্য লোকেদের মতো না। ক্যান্সারে আক্রান্ত। যদি কাজটি করে দেন, আমার খুব উপকার হবে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। তাই জমি বিক্রি করব।’ এসি ল্যান্ড রেগে গিয়ে বলেন, ‘আপনার ক্যান্সার তো আমার কী হয়েছে? বেশি কথা বললে আপনার খারিজ এখন বাতিল করে দেব।’ এরপর তিনি কাঁদতে কাঁদতে ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন।
 
যাত্রাপুর গ্রামের সুরেন্দ্র চন্দ্র বণিক রায়ের ছেলে পবিত্র রঞ্জন বণিক রায় জানান, প্রতিবেশীর সঙ্গে জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে বাবা উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন। আদালত বাবার পক্ষে রায় দেন। রায় পেয়ে নামজারি জমা খারিজের আবেদন করেন। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চার মাস ধরে তা ফেলে রেখেছেন এসি ল্যান্ড।
 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নামজারি জমা খারিজ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল প্রায় সাড়ে আট হাজার। তখন এসি ল্যান্ড ছিলেন মোহাম্মদ আজগর আলী। তিনি বদলি হওয়ার পর তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব নেন মোসাম্মত্ রাশেদা আক্তার। তাঁর সময়ে (২০১৬-১৭ অর্থবছর) চার হাজার নামজারি জমা খারিজ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আগের অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা কমে ৪৩ লাখ টাকার কাছাকাছি নেমে এসেছে। এই অর্থবছরে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
 
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, নামজারি জমা খারিজের ডিসিআর (রশিদ) বাবদ সরকারি ফি এক হাজার ১৫০ টাকা। সেখানে নেওয়া হয় এক হাজার ৫০০ টাকা। গত দুই অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার নামজারি খারিজ থেকে (৩৫০ টাকা করে) প্রায় ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত নিয়েছে ভূমি অফিস।
 
ভুক্তভোগীরা জানায়, ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নথিভুক্ত হওয়া প্রায় ৬৫টি নামজারি জমা খারিজ মামলা ফেলে রাখা হয়েছে। এসি ল্যান্ড নামজারি জমা খারিজ জমা নেন। তাঁর অবর্তমানে নেই কোনো প্রতিনিধি। নানা কাজে তাঁকে সপ্তাহে দু-তিন দিন অফিসের বাইরে থাকতে হয়। এ কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
 
জানঘর গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, ‘উপজেলার শেষ প্রান্তে আমার বাড়ি। পর পর তিন দিন ভূমি অফিসে আসার পর আমার জমা খারিজের আবেদনটি জমা দিতে পেরেছি।’
 
রামচন্দ্রপুর দিঘলদী গ্রামের আলী নেওয়াজের ছেলে রবি মিয়া বলেন, ‘আমার জমা খারিজটি সঠিক কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বাতিল করে দিয়েছে। বাতিলের কারণ জানতে চাইলে অফিস আমাকে কোনো সঠিক উত্তর দেয়নি।’
 
ভুক্তভোগী আবদুল মালেক, মোসলেম উদ্দিন, আয়েত আলী, রফিক মিয়া, আবদুল মোতালেব, মো. শাহজাহান, ইয়ার হোসেন, মোশারফ মিয়া ও রুবেল মিয়া বলেন, ‘গত ১৬ মে চট্টগ্রাম বিভাগের উপভূমি সংস্কার কমিশনার গোলাম মাওলা মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শনে আসেন। খবর পেয়ে আমরা ৫০-৬০ জন অভিযোগ করার জন্য ভূমি অফিসের গেটে জড়ো হয়েছিলাম। কর্মচারীরা অফিসের গেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এ কারণে আমরা অভিযোগ জানাতে পারিনি।’
 
ঘুষের তহবিল সম্পর্কে ভূমি অফিসের নাজির দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এগুলো আগে ছিল। এখন এমন কিছু নেই।’
 
মুরাদনগর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ‘জমির সাফকবলা দলিল করতে হলে খারিজের প্রয়োজন হয়। আর খারিজ না করতে পারলে ক্রেতা ও বিক্রেতা দানপত্রের আশ্রয় নেন। তাতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়।’
 
মুরাদনগরের এসি ল্যান্ড মোসাম্মদ রাশেদা আক্তার বলেন, ‘আমার অফিসে জমা খারিজ করতে এসে কেউ ভোগান্তির শিকার হয়নি। আর গত বছরের তুলনায় এ বছর জমা খারিজ কম হলে সেটা তো আর আমার বিষয় নয়। যারা খারিজের জন্য আসছে, আমি তাদের খারিজ করে দিয়েছি।’ প্রতিটি জমা খারিজ থেকে অতিরিক্ত ৩৫০ টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অফিসে চার্ট টাঙিয়ে দিয়েছি। প্রতিটি জমা খারিজ সরকারি ফি ১১শ ৫০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে—এমন অভিযোগ কেউ আমার কাছে করেনি।’
 
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, ‘অফিসের কারো অবহেলায় সরকার যদি রাজস্ব হারায়, তাহলে বিষয়টি মারাত্মক অনিয়মের মধ্যে পড়ে। আর প্রতিটি জমা খারিজে ৩৫০ টাকা করে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। ভূমি অফিসের সব বিষয় আমি খতিয়ে দেখব।’