ঢাকা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের ঈদ কেটেছে পথে-ঘাটে, নদীর ধারে

জাতীয় ডেস্কঃ
আগুন আর আগুন, গুলির পর গুলি, হত্যা আর হত্যা, ধর্ষণের পর ধর্ষণ-এসবই চলছে রোহিঙ্গাদের ওপর। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তারা সহায় সম্বল ছেড়ে ঈদের দিনও পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।
তাদের ঈদ কেটেছে পথ-ঘাট, বিল-ঝিল, পাহাড় এবং নদীর ধারে। এমন ঈদ তারা জীবনেও আশা করেনি কখনো।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদের দিন টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা দল বেঁধে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে ঈদ করেছে তারা। আশ্রয় নেওয়ার জায়গা না থাকায় রোহিঙ্গারা পথ-ঘাট, বিল-ঝিল, পাহাড় এবং নদীর ধারে পলিথিনের নিচে অবস্থান নিয়েছে। টেকনাফের দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিল ধরণের ঠাঁই নেই। কোন এনজিও বা প্রতিষ্ঠানকে রোহিঙ্গাদের ঈদের দিন সহায়তা করতে দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় বেশ কিছু যুবকদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা গেছে।
মিয়ানমারের নাগাকুরা এলাকার নাইস্যাপুরু গ্রামের ছৈয়দ আলম বলেন, ‘পথে-ঘাটে ঈদ জীবনে কখনো করিনি। আশ্রয় নেওয়ার কোন জায়গা না পাওয়ায় দুই দিন ধরে রাস্তার ধারে বসে আছি। পরিবার নিয়ে রাস্তার ওপরই ঈদ করেছি।’
উপজেলা যুব লীগের অর্থ সম্পাদক-হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শাহ আলম, ব্যবসায়ী আব্বাছ আলী ও হ্নীলা যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম অপি জানান, ঈদের দিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের বেশির ভাগই বিল-ঝিল, রাস্তা ঘাট, পাহাড় এবং নদীর ধারে ঈদ করে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

রোহিঙ্গাদের ঈদ কেটেছে পথে-ঘাটে, নদীর ধারে

আপডেট সময় ০৪:৪২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
আগুন আর আগুন, গুলির পর গুলি, হত্যা আর হত্যা, ধর্ষণের পর ধর্ষণ-এসবই চলছে রোহিঙ্গাদের ওপর। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তারা সহায় সম্বল ছেড়ে ঈদের দিনও পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।
তাদের ঈদ কেটেছে পথ-ঘাট, বিল-ঝিল, পাহাড় এবং নদীর ধারে। এমন ঈদ তারা জীবনেও আশা করেনি কখনো।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদের দিন টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা দল বেঁধে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে ঈদ করেছে তারা। আশ্রয় নেওয়ার জায়গা না থাকায় রোহিঙ্গারা পথ-ঘাট, বিল-ঝিল, পাহাড় এবং নদীর ধারে পলিথিনের নিচে অবস্থান নিয়েছে। টেকনাফের দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিল ধরণের ঠাঁই নেই। কোন এনজিও বা প্রতিষ্ঠানকে রোহিঙ্গাদের ঈদের দিন সহায়তা করতে দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় বেশ কিছু যুবকদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা গেছে।
মিয়ানমারের নাগাকুরা এলাকার নাইস্যাপুরু গ্রামের ছৈয়দ আলম বলেন, ‘পথে-ঘাটে ঈদ জীবনে কখনো করিনি। আশ্রয় নেওয়ার কোন জায়গা না পাওয়ায় দুই দিন ধরে রাস্তার ধারে বসে আছি। পরিবার নিয়ে রাস্তার ওপরই ঈদ করেছি।’
উপজেলা যুব লীগের অর্থ সম্পাদক-হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শাহ আলম, ব্যবসায়ী আব্বাছ আলী ও হ্নীলা যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম অপি জানান, ঈদের দিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের বেশির ভাগই বিল-ঝিল, রাস্তা ঘাট, পাহাড় এবং নদীর ধারে ঈদ করে।