মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার একমাত্র ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভাবে নির্মিত ভবনটি প্রতিষ্ঠানটির কোনো কাজে আসছে না। এক যুগ আগে নির্মিত এ ভবনটি। বিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাসে প্রর্যাপ্ত শ্রেনী কক্ষ থাকার পরও বন্যার সময় ক্লাস নিতে শ্রেনী কক্ষ সঙ্কটের অজুহাত দেখিয়ে মূলক্যাম্পাসের বাহিরে স্কুলটির বড় খেলার মাঠের পাশে ৪’শতক জমির উপর তিন তলা বিশিষ্ট নতুন একটি ভবনটি নির্মান করে কর্তৃপক্ষ। ভবনটি এখন ব্যবহার হচ্ছে অন্য কাজে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের বই রাখার গোডাউন হিসেবেবিনা ভাড়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভবনটি ব্যবহার করে আসছে। আর অন্য কক্ষ গুলো স্কুলের বিভিন্ন ল্যাব রোম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলা হলেয়ে নেই কোন কার্যক্রম । পতিত অবস্থায় পড়ে থাকায় ভবনের অনেকাংশ জরার্জিন হয়ে পরছে। রাতে ভবনটি থাকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত। ২০০১ সালে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে মুরাদনগর ডিআর উচ্চ বিদ্যালয়টি পার্শ্ববর্তী একমাত্র খেলা মাঠের পাশে সরকারি অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মূলক্যাম্পাস এলাকার মধ্যে অনেক খালি শ্রেনী কক্ষ পড়ে থাকা সত্যের তৎকালীন সময়ের বিদ্যালয় বাউন্ডারির বাইরে কতৃপক্ষের অপরিকল্পিত ভাবে এ ভবনটি নির্মাণ করায় সরকারের এতগুলো চাকা ভূল পথে ব্যবহার হয়েছে।
মুরাদনগর ডিআর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহজান জানান, আমাদের বিদ্যালয়টি গৌমতি নদীর বেরী বাধের ভিতরে হওয়ায় ও বন্যার কারনেই কতৃপক্ষ তখন মূলক্যাম্পাসে কোন বরাদ্ধ না দেওয়ার কারনে তখন এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। যেহেতু এখন বন্যা হয়না তাই এ ভবনটি ব্যবহার করা হচ্ছেনা। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বইয়ের গুদাম ঘর ও আমাদের কিছু ল্যাব রুম রয়েছে।