ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতেরও সহায়তা

জাতীয় ডেস্কঃ
বাংলাদেশে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সহায়তা করবে ভারত। বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটিই জানিয়েছে তারা। তারা আরো বলছে, তৃতীয় কোনো দেশে পরমাণু জ্বালানি প্রকল্প নিয়ে ইন্দো-রুশ চুক্তির অধীনে এটাই হবে তাদের প্রথম উদ্যোগ।
বৈশ্বিক পরমাণু তদারকি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) ৬১তম সাধারণ সম্মেলনে ভারতের অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান শেখর বসু বলেন, ‘রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে একহয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছি।’
ভারতের পরমাণু প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন ধরে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত না থাকায় এ প্রেক্ষাপটে শেখর বসুর মন্তব্যটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ১৯৭৪ সালে পোখরান পরীক্ষার পর ভারতের ওপর এ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে ভারত কোন ধরনের ‘সহযোগিতা’ করছে তা পরিষ্কার নয়। কারণ ভারত পরমাণু সরবরাহকারী গ্রুপের সদস্য নয়। ৪৮ সদস্যের এই গ্রুপটির সদস্যরাই কেবল পরমাণু বোমা তৈরি করতে ব্যবহৃত উপাদান, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ও রফতানি করতে পারে।
রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ২০১৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণু জ্বালানির ব্যবহারে সহযোগিতা জোরদার করার একটি চুক্তি হয়। এতে তৃতীয় দেশে রুশ ডিজাইনের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতীয় শিল্প থেকে সংগৃহীত সামগ্রী, সরঞ্জাম ও পরিষেবা ব্যবহারের কথা রয়েছে। এছাড়া গত এপ্রিলে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি করেছে ভারত। এতে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে।
পাবনার রূপপুরের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করছে রাশিয়া। এটা হবে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু জ্বালানি প্রকল্প। দুটি ইউনিট চালু হলে (প্রতিটির সক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট) বাংলাদেশ হবে ভারত ও পাকিস্তানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে পরমাণু শক্তি ব্যবহারকারী দেশ। দ্য ইকোনোমিক টাইমস।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতেরও সহায়তা

আপডেট সময় ০৩:৪৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
বাংলাদেশে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সহায়তা করবে ভারত। বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটিই জানিয়েছে তারা। তারা আরো বলছে, তৃতীয় কোনো দেশে পরমাণু জ্বালানি প্রকল্প নিয়ে ইন্দো-রুশ চুক্তির অধীনে এটাই হবে তাদের প্রথম উদ্যোগ।
বৈশ্বিক পরমাণু তদারকি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) ৬১তম সাধারণ সম্মেলনে ভারতের অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান শেখর বসু বলেন, ‘রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে একহয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছি।’
ভারতের পরমাণু প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন ধরে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত না থাকায় এ প্রেক্ষাপটে শেখর বসুর মন্তব্যটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ১৯৭৪ সালে পোখরান পরীক্ষার পর ভারতের ওপর এ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে ভারত কোন ধরনের ‘সহযোগিতা’ করছে তা পরিষ্কার নয়। কারণ ভারত পরমাণু সরবরাহকারী গ্রুপের সদস্য নয়। ৪৮ সদস্যের এই গ্রুপটির সদস্যরাই কেবল পরমাণু বোমা তৈরি করতে ব্যবহৃত উপাদান, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ও রফতানি করতে পারে।
রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ২০১৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণু জ্বালানির ব্যবহারে সহযোগিতা জোরদার করার একটি চুক্তি হয়। এতে তৃতীয় দেশে রুশ ডিজাইনের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতীয় শিল্প থেকে সংগৃহীত সামগ্রী, সরঞ্জাম ও পরিষেবা ব্যবহারের কথা রয়েছে। এছাড়া গত এপ্রিলে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি করেছে ভারত। এতে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে।
পাবনার রূপপুরের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করছে রাশিয়া। এটা হবে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু জ্বালানি প্রকল্প। দুটি ইউনিট চালু হলে (প্রতিটির সক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট) বাংলাদেশ হবে ভারত ও পাকিস্তানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে পরমাণু শক্তি ব্যবহারকারী দেশ। দ্য ইকোনোমিক টাইমস।