ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদলি হয়েও যাচ্ছেন না মুরাদনগরের এসিল্যান্ড, দীর্ঘ হচ্ছে ভোগান্তির তালিকা

ষ্টাফ রির্পোটার:

নামজারিতে গত দু’বছরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তির ফিরিস্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ভূমি অফিসের থলের কালো বিড়ালটি বেড়িয়ে আসলে এসিল্যান্ড বদলি হয় অন্যত্র। বদলি হওয়ার পরও তিনি নানান অযুহাতে মিথ্যা বাহানায় এখনো আছেন এই ষ্টেশনে। এখানে থেকে তিনি গ্রাহকের ফাইল আটকে রেখে বিভিন্ন ইউনিয়ন অফিসের নায়েবদেরকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার এসিল্যান্ড (ভূমি কর্মকর্তা) মোসাম্মৎ রেশেদা আক্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

জানাযায়, জাতীয় পত্রিকা দৈনিক কালের কণ্ঠ ও যোগান্তরসহ বেশ ক’টি স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় মুরাদনগর ভূমি অফিসে নামজারি করার নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবেধন প্রকাশ হয়। আরো প্রকাশিত হয়,সরকারের রাজস্ব ফাকিসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির চিত্র। ভোগান্তির তালিকায় ক্যান্সার আক্রান্ত জালাল নামের এক ব্যাক্তি ছিলেন, তার সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও নামজারিতে দু’মাস সময় লেগে যাওয়ায়, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে না পেরে, অবশেষে মারা যান ওই ব্যাক্তি।

সংবাদপত্রে প্রতিবেধন প্রকাশের জেরে কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রকাশক (রাজস্ব) মো.আসাদুজ্জামান তদন্তে ভূমি অফিসে আসার তারিখ ঠিক হয় গত ২৪-০৯-১৭ তারিখ। ওই জেলা প্রশাসক আসার আগের দিন বিকালে এসিল্যান্ড কানুনগুর মাধ্যমে উপজেলার ২১টি ইউপি নায়েবকে ৫জন করে লোক নিয়ে আসতে বলেন তদন্তের দিন। লোক নিয়ে আসার সময় তাদেরকে শিখিয়ে আনতে হবে এসিল্যান্ড ভালো মানুষ, আমাদের নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়নি। এতে করে কিছু নায়েবরা বিভ্রান্তিতে পরে গিয়ে লোক আনতে ব্যার্থ হয় এবং একমাত্র নবীপুর পশ্চিমের নায়েব তিনজন লোক আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে ওই নায়েবকে এসিল্যান্ড ধন্যবাদ দিলেন আর বাকি সব নায়েবকে দেখে নেয়ার হুমকি দিলেন। তবে তদন্তের দিন ভূমি অফিসের দৃশ্য পটে দেখা যায় ভিন্নচিত্র। যেখানে প্রতিটি নায়েব ৫জন করে লোক নিয়ে আসলে একশ পাঁচজন লোক আসতো এসিল্যান্ডের গুনকৃক্তন গাওয়ার জন্য, সেখানে উল্টো একশ থেকে একশ বিশজন ব্যাক্তি আসেন তাদের ভোগান্তির কথা বর্ণনা করতে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নামজারি করা একব্যক্তি তদন্ত কর্মকর্তার সামনে বলে উঠেন, ‘স্যার যদি আমাকে একসপ্তাহের সময় দেন তাহলে আমি ৫হাজার লোক হাজির করতে পারবো জারানাকি অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নামজারি করেছে আর দিনের পর দিন অফিসের বারান্দায় সময় ব্যায় করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাদিক ইউনিয়ন অফিসের নায়েব বলেন, ‘ম্যাডাম মনে করেন নায়েবরা সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছে। যার ফলে সাংবাদিকদেরলিখতে সুবিধা হয়েছে। তাই তিনি (এসিল্যান্ড) নায়েবদেরকে নানান ভাবে হয়রানি করছেন। তার অফিসের টেবিলে নামজারির অসংখ্য ফাইল পরে আছে এদিকে নজর না দিয়ে নায়েবদের ভুলত্রুটি খোজছেন তিনি।
এসিল্যান্ডের মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি নয় বলে লাইন কেটে দেন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে (০১৭৩৩-৩৫৪৯০৫) একাদিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে কোন কমেন্স নেয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন

বদলি হয়েও যাচ্ছেন না মুরাদনগরের এসিল্যান্ড, দীর্ঘ হচ্ছে ভোগান্তির তালিকা

আপডেট সময় ০৩:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
ষ্টাফ রির্পোটার:

নামজারিতে গত দু’বছরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তির ফিরিস্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ভূমি অফিসের থলের কালো বিড়ালটি বেড়িয়ে আসলে এসিল্যান্ড বদলি হয় অন্যত্র। বদলি হওয়ার পরও তিনি নানান অযুহাতে মিথ্যা বাহানায় এখনো আছেন এই ষ্টেশনে। এখানে থেকে তিনি গ্রাহকের ফাইল আটকে রেখে বিভিন্ন ইউনিয়ন অফিসের নায়েবদেরকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার এসিল্যান্ড (ভূমি কর্মকর্তা) মোসাম্মৎ রেশেদা আক্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

জানাযায়, জাতীয় পত্রিকা দৈনিক কালের কণ্ঠ ও যোগান্তরসহ বেশ ক’টি স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় মুরাদনগর ভূমি অফিসে নামজারি করার নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবেধন প্রকাশ হয়। আরো প্রকাশিত হয়,সরকারের রাজস্ব ফাকিসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির চিত্র। ভোগান্তির তালিকায় ক্যান্সার আক্রান্ত জালাল নামের এক ব্যাক্তি ছিলেন, তার সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও নামজারিতে দু’মাস সময় লেগে যাওয়ায়, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে না পেরে, অবশেষে মারা যান ওই ব্যাক্তি।

সংবাদপত্রে প্রতিবেধন প্রকাশের জেরে কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রকাশক (রাজস্ব) মো.আসাদুজ্জামান তদন্তে ভূমি অফিসে আসার তারিখ ঠিক হয় গত ২৪-০৯-১৭ তারিখ। ওই জেলা প্রশাসক আসার আগের দিন বিকালে এসিল্যান্ড কানুনগুর মাধ্যমে উপজেলার ২১টি ইউপি নায়েবকে ৫জন করে লোক নিয়ে আসতে বলেন তদন্তের দিন। লোক নিয়ে আসার সময় তাদেরকে শিখিয়ে আনতে হবে এসিল্যান্ড ভালো মানুষ, আমাদের নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়নি। এতে করে কিছু নায়েবরা বিভ্রান্তিতে পরে গিয়ে লোক আনতে ব্যার্থ হয় এবং একমাত্র নবীপুর পশ্চিমের নায়েব তিনজন লোক আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে ওই নায়েবকে এসিল্যান্ড ধন্যবাদ দিলেন আর বাকি সব নায়েবকে দেখে নেয়ার হুমকি দিলেন। তবে তদন্তের দিন ভূমি অফিসের দৃশ্য পটে দেখা যায় ভিন্নচিত্র। যেখানে প্রতিটি নায়েব ৫জন করে লোক নিয়ে আসলে একশ পাঁচজন লোক আসতো এসিল্যান্ডের গুনকৃক্তন গাওয়ার জন্য, সেখানে উল্টো একশ থেকে একশ বিশজন ব্যাক্তি আসেন তাদের ভোগান্তির কথা বর্ণনা করতে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নামজারি করা একব্যক্তি তদন্ত কর্মকর্তার সামনে বলে উঠেন, ‘স্যার যদি আমাকে একসপ্তাহের সময় দেন তাহলে আমি ৫হাজার লোক হাজির করতে পারবো জারানাকি অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নামজারি করেছে আর দিনের পর দিন অফিসের বারান্দায় সময় ব্যায় করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাদিক ইউনিয়ন অফিসের নায়েব বলেন, ‘ম্যাডাম মনে করেন নায়েবরা সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছে। যার ফলে সাংবাদিকদেরলিখতে সুবিধা হয়েছে। তাই তিনি (এসিল্যান্ড) নায়েবদেরকে নানান ভাবে হয়রানি করছেন। তার অফিসের টেবিলে নামজারির অসংখ্য ফাইল পরে আছে এদিকে নজর না দিয়ে নায়েবদের ভুলত্রুটি খোজছেন তিনি।
এসিল্যান্ডের মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি নয় বলে লাইন কেটে দেন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে (০১৭৩৩-৩৫৪৯০৫) একাদিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে কোন কমেন্স নেয়া সম্ভব হয়নি।