ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহজালালে পায়ুপথে ১২ লাখ টাকার স্বর্ণ, যাত্রী আটক

জাতীয় ডেস্কঃ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার ১২ লাখ টাকার স্বর্ণসহ মিজান নামে এক যাত্রী আটক হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা তাকে আটক করে। এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান,  সকালে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আসা কুমিল্লার মিজান আহম্মদের শরীর থেকে দু’টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণগুলো তিনি রেক্টামে (পায়ুপথে) বহন করছিলেন। শুল্ক গোয়েন্দার কাছে গোপন তথ্য থাকায় ওই যাত্রীর ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হয়। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। কিন্তু তিনি স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন।
মহাপরিচালক বলেন, ওই যাত্রীর অস্বাভাবিক চলাফেরায় সন্দেহ বেড়ে যায়। পরে তাকে শুল্ক গোয়েন্দার অফিস কক্ষে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তিনি বার বার স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে আর্চওয়ে মেশিনে ওই যাত্রীকে হাঁটিয়ে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হন তার কাছে স্বর্ণ আছে। এরপর যাত্রীকে উত্তরার জাহানারা ক্লিনিকে এনে এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে যাত্রীর তলপেটে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দরে এনে যাত্রী টয়লেটের ভেতরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে দু’টি স্বর্ণবার বের করে আনেন এবং পরে তার হাতব্যাগ থেকে আরও চারটি স্বর্ণের রিং পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী মিজান জানিয়েছেন, এসব স্বর্ণ আকাশপথে টয়লেটের ভেতরে গিয়ে নিজেই পুশ করেন। আর পাসপোর্ট পরীক্ষায় দেখা যায়, চলতি বছরে তিনি ৪ বার কুয়ালালামপুর  ভ্রমণ করেছেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শাহজালালে পায়ুপথে ১২ লাখ টাকার স্বর্ণ, যাত্রী আটক

আপডেট সময় ০১:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার ১২ লাখ টাকার স্বর্ণসহ মিজান নামে এক যাত্রী আটক হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা তাকে আটক করে। এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান,  সকালে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আসা কুমিল্লার মিজান আহম্মদের শরীর থেকে দু’টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণগুলো তিনি রেক্টামে (পায়ুপথে) বহন করছিলেন। শুল্ক গোয়েন্দার কাছে গোপন তথ্য থাকায় ওই যাত্রীর ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হয়। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। কিন্তু তিনি স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন।
মহাপরিচালক বলেন, ওই যাত্রীর অস্বাভাবিক চলাফেরায় সন্দেহ বেড়ে যায়। পরে তাকে শুল্ক গোয়েন্দার অফিস কক্ষে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তিনি বার বার স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে আর্চওয়ে মেশিনে ওই যাত্রীকে হাঁটিয়ে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হন তার কাছে স্বর্ণ আছে। এরপর যাত্রীকে উত্তরার জাহানারা ক্লিনিকে এনে এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে যাত্রীর তলপেটে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দরে এনে যাত্রী টয়লেটের ভেতরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে দু’টি স্বর্ণবার বের করে আনেন এবং পরে তার হাতব্যাগ থেকে আরও চারটি স্বর্ণের রিং পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী মিজান জানিয়েছেন, এসব স্বর্ণ আকাশপথে টয়লেটের ভেতরে গিয়ে নিজেই পুশ করেন। আর পাসপোর্ট পরীক্ষায় দেখা যায়, চলতি বছরে তিনি ৪ বার কুয়ালালামপুর  ভ্রমণ করেছেন।