ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামনে একটিই পথ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের কাছে আজ দেশের অসংখ্য পরিবার এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। যারাই সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভিন্নমত প্রকাশ করছে বা করতে চাচ্ছে তাদেরকে হয় হত্যা করছে, না হয় গুম করছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই সরকার গুম ও খুনের রাজনীতি করছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের সামনে একটি মাত্র পথ, সেটি হলো গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাসীন সরকারকে পরাজিত করার মাধ্যমে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্য সবাইকে উঠে দাঁড়াতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে এবং দেশের মানুষ যাতে স্বস্তি নিতে পারে, মানুষকে যাতে সুশাসন দিতে পারি ঐক্যবদ্ধভাবে সেই আন্দোলন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকায় গুম ও নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বজনদের উপস্থিতিতে রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএনপি।
রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশেই এই মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করে দলটি। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় এই মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ওলামা দল, কৃষক দলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, শওকত মাহমুদ, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ। গত কয়েক বছর যাবত বিএনপির যেসব নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁদের কয়েকজনের পরিবারের পক্ষ থেকেও বক্তব্য রাখা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গোটা বাংলাদেশ আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে। মামলা, হত্যা, গুম-খুনে জর্জরিত। মানবাধিকারকে গুম করা হয়েছে। কারণ একটাই-জোর করে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে রাখা। শুধু তাই নয়, গুমের ব্যাপারে যে আদালতে প্রতিকার পাওয়ার একমাত্র সুযোগ ছিল, সেটাও সরকার দখলে নেওয়ায় এখন আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আজকে বিচারবিভাগকে কব্জা করে ফেলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতিকে বাধ্য করা হয়েছে প্রথমে ছুটি পরবর্তীতে পদত্যাগে। প্রশাসনকে করা হয়েছে সম্পূর্ণ দলীয়করণ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে শিক্ষকদের জাতীয়করণ ও শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন

সামনে একটিই পথ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০১:১৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের কাছে আজ দেশের অসংখ্য পরিবার এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। যারাই সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভিন্নমত প্রকাশ করছে বা করতে চাচ্ছে তাদেরকে হয় হত্যা করছে, না হয় গুম করছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই সরকার গুম ও খুনের রাজনীতি করছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের সামনে একটি মাত্র পথ, সেটি হলো গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাসীন সরকারকে পরাজিত করার মাধ্যমে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্য সবাইকে উঠে দাঁড়াতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে এবং দেশের মানুষ যাতে স্বস্তি নিতে পারে, মানুষকে যাতে সুশাসন দিতে পারি ঐক্যবদ্ধভাবে সেই আন্দোলন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকায় গুম ও নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বজনদের উপস্থিতিতে রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএনপি।
রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশেই এই মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করে দলটি। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় এই মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ওলামা দল, কৃষক দলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, শওকত মাহমুদ, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ। গত কয়েক বছর যাবত বিএনপির যেসব নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁদের কয়েকজনের পরিবারের পক্ষ থেকেও বক্তব্য রাখা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গোটা বাংলাদেশ আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে। মামলা, হত্যা, গুম-খুনে জর্জরিত। মানবাধিকারকে গুম করা হয়েছে। কারণ একটাই-জোর করে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে রাখা। শুধু তাই নয়, গুমের ব্যাপারে যে আদালতে প্রতিকার পাওয়ার একমাত্র সুযোগ ছিল, সেটাও সরকার দখলে নেওয়ায় এখন আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আজকে বিচারবিভাগকে কব্জা করে ফেলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতিকে বাধ্য করা হয়েছে প্রথমে ছুটি পরবর্তীতে পদত্যাগে। প্রশাসনকে করা হয়েছে সম্পূর্ণ দলীয়করণ।