মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ৩০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাদিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত হয়ে পরেছে। এসব ভবন গুলো অপসারণ না হওয়ায় বছরের পর বছর এসব পরিত্যক্ত ভবনে ও পাশে নিরুপায় হয়ে ঝূঁকি নিয়ে ক্লাস করছে বিদ্যালয় গুলোর প্রায় ১২ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী।
এতে করে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। অর্ধশত বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত হলেও পরিত্যক্ত ভবনের কোন তালিকা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে না থাকায় অভিভাবকদের মাঝে রয়েছে অসন্তুষ্ট।
এছাড়া ভবন, পাকা ভবন নির্মিত না হওয়া, শিক্ষক, টয়লেট ও পানির সংকট, নোংড়া পরিবেশসহ নানান সমস্যায় জর্রজরিত ও জরার্জীন হয়ে বেহাল অবস্থা রয়েছে বিদ্যালয় গুলো। যা দেখার যেন কেহ নেই। কোথাও পরিত্যক্ত ভবনে চলচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম আবার কোথাও সেই পরিত্যক্ত ভবন গুলো অরক্ষিত ভাবে থাকায় সেব ভবনে শিক্ষার্থীরা করছে খেলাধূলা। এতে করে সে সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সব সময় থাকতে হচ্ছে অতঙ্কের মাঝে। অতি জরুরী বিত্তিতে সে সকল ভবন গুলো অপসারনের দাবী জানান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার শিক্ষা অফিস মতে ৩৬টি বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত হয়ে অধিক ঝুকিঁপূর্ণ। বিদ্যালয় গুলো হলো, কৃষ্ণপুর, ঘোড়াশাল (উত্তর), কৃষ্ণপুর (দক্ষিন), রামপুর (দক্ষিন), কুড়ারপাড়, সোনারামপুর, কাজিয়াতল (উত্তর), কাজিয়াতল (দক্ষিন), খাপুড়া, হিরাকাশী, রাজাবাড়ী, হায়দরাবাদ, ইসলামপুর, বল্লভদী, সাতমোড়া, জানঘর, বৃষ্ণপুর, পূর্বধৈইর, কামাল্লা (পশ্চিম), সাহেবনগর, বড়ইয়াকুড়ি, নরসিংহপুর, গাংগাটিয়া, রহিমপুর, নবীপুর, রামপুর উত্তর, হারপাকনা, মোকলেশপুর, কামারচর, দেওড়া দক্ষিন, ফুলঘর, গনিপুর, করিমপুর, পূর্ব জাঙ্গাল, পাহাড়পুর উত্তর ও জাঙ্গাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম পরিত্যক্ত ভবনের কোন তালিকা না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলায় প্রায় ৫০টি ভবন পরিত্যক্ত হওয়ার যুগ্য ভবন রয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান আমাদের লিখিত ভাবে জানিয়েছে তা আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান পরিত্যক্ত ঘোষনা করার দায়িত্য উপজেলা প্রকৌশলীর।