ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
প্রস্তাব আগেই দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, মুসলিমদের হজযাত্রায় কোনো ভর্তুকি দেবে না সরকার। ২০১৮ সালে প্রণীত হজযাত্রার নতুন নীতি অনুযায়ী এই নিয়ম চালু করা হল।
ভারতের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি জানিয়েছেন, হজযাত্রায় খরচ কমলে যে টাকা সরকারের হাতে বাঁচবে, তা মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নে খরচ করা হবে।
২০২২ সালের মধ্যে হজযাত্রায় ভর্তুকি তুলে দিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে ২০১২ সালে নির্দেশ দিয়েছিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই নতুন হজ খসড়া নীতি তৈরি করা হয়েছিল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব আমানুল্লার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিই নতুন খসড়া নীতি জমা দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ে। তার ভিত্তিতেই হজযাত্রা নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, মুসলিমদের হজযাত্রায় প্রায় ৭০০ কোটির ভর্তুকি দিত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে কমপক্ষে ১ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রীর উপর। তবে বিমানের পরিবর্তে জাহাজে হজযাত্রীদের পাঠানোর যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা পুরোপুরি গ্রহণ করা হয়নি।
অর্থাৎ, বিমানের পাশাপাশি জলপথেও যাত্রার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই নিয়ে সৌদি আরবের প্রশাসনের সঙ্গেও আলোচনা করেছে সরকার। এই কারণে হজযাত্রীদের যাত্রার স্থান বা এমবার্কেশন পয়েন্ট পরিবর্তন করা হতে পারে।
নতুন নীতি অনুযায়ী, দেশের হজ কমিটি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে ৭০:৩০ অনুপাতে আগামী ৫ বছরের জন্য ভাগ করা হবে। এর জন্য পদ্ধতিকে আরও স্বচ্ছ করা হবে।
চলতি বছরেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক তীর্থযাত্রী হজে যাওয়ার কথা। যার মধ্যে ১৩০০ নারী যাত্রী থাকবেন। যাঁরা মুহরিম বা পুরুষ সঙ্গী ছাড়াও হজে যেতে পারবেন। তবে ৪৫ বছরের কম বয়সী নারীদের এখনও মুহরিম সঙ্গেই যেতে হবে।