ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলার রায় দেখে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত

জাতীয় ডেস্কঃ
‘বিএনপি যে কোনো পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে যাবে’-এমন কথা দলের কোনো কোনো নেতা বললেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলটি। নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি যাবে না তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলের কোনো ফোরামে হয়নি। এই সিদ্ধান্ত নিবেন বেগম খালেদা জিয়া। নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়াকে আইনের মাধ্যমে সাজা দিয়ে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করলে কোনো নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। নির্বাচন ঠেকানো হবে। দলের হাইকমান্ড বর্তমান সরকারের মনোভাব পর্যবেক্ষণ করছেন। বিশেষ করে শেষ পর্যন্ত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কি রায় হয় তার দিকে গভীর দৃষ্টি রাখছেন দলের নীতি-নির্ধারকরা। এই মামলায় বেগম জিয়ার সাজা হলে এবং তার পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না।
জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। এখন এই মামলায় অন্য আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। খালেদা জিয়াকে সপ্তাহে তিন দিন যেতে হচ্ছে আদালতে। অচিরে মামলার সমাপ্তি টেনে রায়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে আদালতে। আগামী মাসের শেষের দিকে এই মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে আশঙ্কা   করছেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। তারা মামলার গতি ‘অস্বাভাবিক’ বলে অভিযোগ করছেন। খালেদা জিয়া নিজেও বলেছেন, ‘আমার মামলাগুলোয় যেন রকেটের গতি; পেছন থেকে কেউ যেন তাড়া করছে।’ খুব দ্রুত রায় দেওয়ার জন্য অদৃশ্য ইশারা কাজ করছে। জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়া তার মামলার রায়ের পর পরিস্থিতি দেখে নির্বাচকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন। তার আগে নয়। এই রূপরেখার খসড়া তৈরি করা আছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে রায়ের ওপর। সাজা না খালাস-কি হয় তা দেখতে চায় হাইকমান্ড।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার যদি বেগম জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তা হবে তাদের জন্য দু:স্বপ্ন। সেই নির্বাচন এদেশে আর হবে না। এটা ২০১৪ নয়, ২০১৮। সবকিছু বদলেছে। জনগণ পথে নামলে সব ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল হবে। আমাদের স্পস্ট কথা হলো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বর্তমান সরকার সামনে বড় বিপদে পড়বে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, মামলায় প্রভাবমুক্ত রায় হলে বেগম জিয়া খালাস পাবেন।  দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো অসার ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণঅভ্যুত্থানের পর মুরাদনগরে প্রথম আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা

মামলার রায় দেখে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ০৭:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
‘বিএনপি যে কোনো পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে যাবে’-এমন কথা দলের কোনো কোনো নেতা বললেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলটি। নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি যাবে না তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলের কোনো ফোরামে হয়নি। এই সিদ্ধান্ত নিবেন বেগম খালেদা জিয়া। নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়াকে আইনের মাধ্যমে সাজা দিয়ে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করলে কোনো নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। নির্বাচন ঠেকানো হবে। দলের হাইকমান্ড বর্তমান সরকারের মনোভাব পর্যবেক্ষণ করছেন। বিশেষ করে শেষ পর্যন্ত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কি রায় হয় তার দিকে গভীর দৃষ্টি রাখছেন দলের নীতি-নির্ধারকরা। এই মামলায় বেগম জিয়ার সাজা হলে এবং তার পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না।
জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। এখন এই মামলায় অন্য আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। খালেদা জিয়াকে সপ্তাহে তিন দিন যেতে হচ্ছে আদালতে। অচিরে মামলার সমাপ্তি টেনে রায়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে আদালতে। আগামী মাসের শেষের দিকে এই মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে আশঙ্কা   করছেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। তারা মামলার গতি ‘অস্বাভাবিক’ বলে অভিযোগ করছেন। খালেদা জিয়া নিজেও বলেছেন, ‘আমার মামলাগুলোয় যেন রকেটের গতি; পেছন থেকে কেউ যেন তাড়া করছে।’ খুব দ্রুত রায় দেওয়ার জন্য অদৃশ্য ইশারা কাজ করছে। জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়া তার মামলার রায়ের পর পরিস্থিতি দেখে নির্বাচকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন। তার আগে নয়। এই রূপরেখার খসড়া তৈরি করা আছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে রায়ের ওপর। সাজা না খালাস-কি হয় তা দেখতে চায় হাইকমান্ড।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার যদি বেগম জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তা হবে তাদের জন্য দু:স্বপ্ন। সেই নির্বাচন এদেশে আর হবে না। এটা ২০১৪ নয়, ২০১৮। সবকিছু বদলেছে। জনগণ পথে নামলে সব ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল হবে। আমাদের স্পস্ট কথা হলো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বর্তমান সরকার সামনে বড় বিপদে পড়বে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, মামলায় প্রভাবমুক্ত রায় হলে বেগম জিয়া খালাস পাবেন।  দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো অসার ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।