ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় মেয়েসহ সাদ্দাম পরিবারের অনেকেই ইরাকের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইরাকে গত ১৪ বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে সন্দেহভাজন ৬০ জন মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে সেদেশের সরকার। রবিবার প্রকাশিত ওই তালিকায় দেখা গেছে, দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বড় মেয়ে রাঘাদ হোসেনসহ তার পরিবারের অনেকেই রয়েছেন। এছাড়া জঙ্গি গোষ্ঠী দায়িশ ও আল-কায়েদার নেতাদেরকেও ওই তালিকার প্রথমদিকে রেখেছে ইরাক সরকার।
ইরাক সরকারের প্রকাশিত ওই তালিকায় সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে ছাড়াও তার তিন ভাতিজা ওমর, আইমান সাবাওয়ি ও আহমেদ ওয়াতবান ইব্রাহিম আল হাসানের নাম রয়েছে। এছাড়া সাদ্দামের চাচাতো ভাই রাফিয়া আব্দুলাতিফও রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবর থেকে জানা গেছে, বাঘাদ বর্তমানে জর্ডানে বসবাস করেন।
ইরাকে মার্কিন হামলার মধ্যে প্রতিরোধ যুদ্ধে নিহত হন সাদ্দামের দুই ছেলে। যুদ্ধের একপর্যায়ে ইরাক ছেড়ে পালিয়ে যান বড় মেয়ে রাঘাদ হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। বাথ পার্টিকে সহায়তার অভিযোগে ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল রাঘাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
উল্লেখ্য, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগ তুলে ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। পরে মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর ইরাকের আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সাদ্দামের রাজনৈতিক দল বাথ পার্টিকে। ইরাক সরকারের ওই তালিকায় ২৮ জন আইএস যোদ্ধা, ১২ জন আল-কায়েদা, ২০ জন বাথ পার্টির সদস্যে থাকলেও নাম নেই আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির। আরব নিউজ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর সেন্ট্রাল স্কুলের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও পুরষ্কার বিতরণ

বড় মেয়েসহ সাদ্দাম পরিবারের অনেকেই ইরাকের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে

আপডেট সময় ০১:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইরাকে গত ১৪ বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে সন্দেহভাজন ৬০ জন মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে সেদেশের সরকার। রবিবার প্রকাশিত ওই তালিকায় দেখা গেছে, দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বড় মেয়ে রাঘাদ হোসেনসহ তার পরিবারের অনেকেই রয়েছেন। এছাড়া জঙ্গি গোষ্ঠী দায়িশ ও আল-কায়েদার নেতাদেরকেও ওই তালিকার প্রথমদিকে রেখেছে ইরাক সরকার।
ইরাক সরকারের প্রকাশিত ওই তালিকায় সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে ছাড়াও তার তিন ভাতিজা ওমর, আইমান সাবাওয়ি ও আহমেদ ওয়াতবান ইব্রাহিম আল হাসানের নাম রয়েছে। এছাড়া সাদ্দামের চাচাতো ভাই রাফিয়া আব্দুলাতিফও রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবর থেকে জানা গেছে, বাঘাদ বর্তমানে জর্ডানে বসবাস করেন।
ইরাকে মার্কিন হামলার মধ্যে প্রতিরোধ যুদ্ধে নিহত হন সাদ্দামের দুই ছেলে। যুদ্ধের একপর্যায়ে ইরাক ছেড়ে পালিয়ে যান বড় মেয়ে রাঘাদ হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। বাথ পার্টিকে সহায়তার অভিযোগে ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল রাঘাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
উল্লেখ্য, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগ তুলে ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। পরে মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর ইরাকের আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সাদ্দামের রাজনৈতিক দল বাথ পার্টিকে। ইরাক সরকারের ওই তালিকায় ২৮ জন আইএস যোদ্ধা, ১২ জন আল-কায়েদা, ২০ জন বাথ পার্টির সদস্যে থাকলেও নাম নেই আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির। আরব নিউজ।