অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
এশিয়ার দুই বৃহত্তম শক্তি ভারত ও চীন এখন কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে ব্যস্ত মলদ্বীপকে নিয়ে। ছোট এই দ্বীপ রাষ্ট্রে কাদের দখল বেশি থাকবে তা নিশ্চিত করতে ভারতকে টপকে চীন এগিয়ে যেতে চাইছে। মালদ্বীপের আবদুল্লা ইয়ামিনের সরকার চীনকে পাশে চাইলেও সেদেশের বিরোধী তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদ ভারতের সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছেন। যা দেখে চীন বলেছেন, স্বতন্ত্রতায় আঘাত করতে চীন ছেড়ে কথা বলবে না।
এই প্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার ঠাণ্ডা যুদ্ধে ভারতের অবস্থান শক্ত করতে ও চীনকে ঠাণ্ডা করতে হাত বাড়িয়ে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। শুধু মালদ্বীপ নিয়েই নয়, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ইস্যু ও উত্তর কোরিয়া নিয়েও দুই প্রধানের কথা হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যাতে এশিয়ায় চীনের দাপাদাপিতে লাগাম পরানো যায়। ভারত মহাসাগরের দখল নিয়ে ভারত-চীন ঠাণ্ডা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে ভারতের পাশে রয়েছে তা ফের একবার ট্রাম্পের ফোনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবারই খবর আসে, দেশের উদ্ভূত রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিতে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামিন চীন, পাকিস্তান ও সৌদি আরবে প্রতিনিধি পাঠালেও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তারপরই ট্রাম্পের ফোন আসে।