ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬,বাঞ্ছারামপুর উপজেলা।এক সময় ছিলো বিএনপির ঘাটি।মূলত বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির গোরাপত্তন করেন সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এটিএম ওয়ালী আশরাফ।
আর সেটিকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে পুরো এলাকায় জনপ্রিয় করে তোলেন আরেক তুখোড় ছাত্রনেতা ও সাবেক মরহুম এমপি শাহজাহান হাওলাদার সুজন।মাঝখানে হাল ধরেন লিব্রা ফার্মাসিটিক্যালসের চেয়ারম্যান ড.রওশন আলম।ঝোঁপ বুঝে কূপ মারেন পুলিশের সাবেক এআইজি মো.এম এ খালেক।সেই ঘাটিকে তছনছ করে দেন ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম এমপি।৩ বারের সফল এমপি।তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কাছে এমএ খালেক ধরাশায়ী হন ২০০৮ এর নির্বাচনে।লাখ ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী হন ক্যা.তাজ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন,বিএনপিতে কেবল সঠিক ও বলিষ্ঠ নের্তৃত্বের অভাবে আজ এই ছিন্নভিন্ন অবস্থা।বর্তমানে ২০১৮ সালে জাতীয়তাবাদী দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যখন কারাগারে,ঠিক তখন পাদ-প্রদীপ এবং সীমানার শেষ প্রান্তে শেষ আশার আলোর বিন্দু হয়ে আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছেন বিশিষ্ট কৃষিবিদ ও কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান পলাশ।তরুন এই নেতা রীতিমতো ভেল্কিবাজির মতো চমক দেখাতে শুরু করেছেন দেশের বিরুপ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও।
ছাত্রদলের নতুন কমিটি ও বিএনপি’র হালচাল বলতে গিয়ে দলের কান্ডারী হিসেবে যাকে মনে করা হয় সেই এম.এ খালেক মুঠোফোনে মঙ্গলবার রাতে জানান,-‘আমরা এখন ব্যস্ত
খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কমিটি নিয়ে মাথা ঘামানোর টাইম নাই’
‘আপনার দেয়া ছাত্রদলের উপজেলা কমিটি অনুমোদন পায়নি কেন? বিএনপিতে এতো গ্রুপিং কেন?ছাত্রনেতা রফিক শিকদার,এডভোকেট জিয়া, ডা.খোকন, লিয়াকত আলী ফরিদ সবাইকে নিয়ে আপনার নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে পূর্বের সব কিছু ভুলে যেয়ে কেন সম্মিলিত হয়ে সবাই এক ব্যানারে এক সাথে দলীয় কর্মসূচী তে অংশ নিচ্ছেন না? বর্তমান এমপি ক্যা.তাজ তো আপনাকে বা দলের কোন কর্মসূচীতে বাধা দিচ্ছে না, তাহলে বাঞ্ছারামপুরে তো কর্মসূচী বাস্তবায়িত হতে দেখা যায় না-এসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ছাত্রদল নিয়ে আমি এখন কিছুই বলব না।দলে গ্রুপিং কেন ,সেটি তাদেরই জিজ্ঞাসা করুন।আমরা সবাই,মানে যে নেতাদের নাম বলেছেন সেই সব নেতারা কেউ কিন্তু বসে নাই। সবাই নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।আর ক্যা.তাজের রাজনীতি আপনারা বুঝবেন না।তিনি এখন হয়তো দলীয় কর্মসূচী পালনে কিছু করছে না,কিন্তু সময় মতো দেখবেন সব সাইজ করবে।কারন,উনার দল এখন ক্ষমতায়।
অভিজ্ঞ মহল মনে করেন,বাঞ্ছারামপুরে বহু সমর্থক আছে।কিন্তু দল পরিচালনা করার মতো নেতা নেই।দলের ব্যানার-ফেষ্টুন জীবিত রেখেছেন মেহেদী হাসান পলাশ।