জাতীয় ডেস্ক:
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে রবিবার রাত সাড়ে সাতটায় অবরোধকারীদের ওপর লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসে একান্নজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আবু বকর নামে এক জনের চোখে টিয়ারশেল লেগেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অবস্থান করছিল। অন্যদিকে পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে অবস্থান করছে। পুলিশ থেমে থেমে আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে।
ছাত্রলীগের মহড়া
এদিকে রাত নয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সমবেত হয়। কিন্তু টিয়ার শেলের ঝাজে নেতাকর্মীরা টিকতে না পেরে একাধিক স্থানে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান করছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে ছাত্রলীগের অবস্থান কি এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, পরে জানাব।
তবে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী কোটা থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একটি স্বায়ত্বপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে ঢুকে হামলা খুবই দুঃখজনক। ইসতিয়াক নামে এক ছাত্র বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এসে পুলিশ হামলা চালায় এরপরও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো খবর নেই। এটা কেমন কথা?
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী ইত্তেফাককে বলেন, আমিও টিয়ার গ্যাসের মধ্যে আছি। আন্দোলনকারীদের শান্ত হতে বল। তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে।
রাত ১টা ১০ মিনিটে পুলিশ আবার আন্দোলনরত ছাত্রদের লাঠিচার্জ ও গুলি ছোড়ে। আহত অবস্থায় কয়েকজনকে আটক করে।