মো: নাজিম উদ্দিনঃ
রোজ বুধবার, ১৫ জুলাই ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
সিলেটের কিশোর শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা ঘটনার বিচার ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে যখন দেশ-বিদেশের গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভের ঝড় বইছে ঠিক সেই সময় সেই একই কায়দায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামে মঙ্গলবার ভোররাতে শামসুল ইসলাম মনির(২৯) নামের এক যুবককে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে স্থানীয় একটি মহল। এঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ এলাকায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
নিহত মনির উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মোছলেম উদ্দিন সরকারের ছেলে।
এঘটনার পর নিহতের পিতা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এজাহার নামীয় ৭জন ও অজ্ঞাত ৮/১০জনকে আসামী করে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় পুলিশ কাজিয়াতল পূর্বপাড়া মসজিদের ইমাম আবুল হাছান(২৮)কে মঙ্গলবার রাতে তার নিজ বাড়ী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনিয়া গ্রাম থেকে আটক করে। আটককৃত আবুল হাছান চরলহনিয়া গ্রামের আঃ জলিলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে মঙ্গলাবার ভোর রাতে পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কখা বলে ফোনে ডেকে নিয়ে মনিরকে আটক করে হাত-পা বেধেঁ পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মনিরের মৃত্যু হয়। পরে সকাল বেলা জনতার গনপিটুনীতে ডাকাত আহত হওয়ার খবর পেয়ে মুরাদনগর থানার এসআই শামসুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মনিরকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলার স্বাস্থ্যা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহত মনিরের পিতা মোছলেম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে মনিরকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে মোহাম্মদ আলী টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে মোহাম্মদ আলী মনিরকে ভোর রাতে ফোন করে টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে, পরে মনির টাকা আনতে গেলে তাকে আটক করে মারধর করে ও পায়ের রগকেটে হত্যা করে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হত্যা মামলার একজন আসমীকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতাাে অভিযান অব্যাহত আছে।