ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি: ওবায়দুল কাদের

জাতীয় ডেস্কঃ
আওয়ামসী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারত সফরকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে দেশটির সরকার অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। প্রায় ৩২ মিনিট তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। কিন্তু ডিনার পার্টিতে ভারতের অনেকেই বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামীতেও ক্ষমতায় আসবে।’
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? তারা কি কখনও ক্ষমতায় বসিয়েছে? ২০০১ সালে আমরা হেরে গেছি। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে? ভারত এটা করে না। আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। কোনও বিদেশি শক্তি নয়।’
বিএনপি পূর্ণ মিথ্যাবাদী
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছেন, আমাদের কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছেন। আমরা দেশের জন্য জনগণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই সফরে শিক্ষা থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যু, কোনও কিছুই বাদ পড়েনি। দেশের জনগণের স্বার্থ তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, তিস্তাচুক্তি হলে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।’
তারেক রহমানের পাসপোর্ট সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির একেক নেতা একেক কথা বলছেন। খাদের কিনারে এসে লাফালাফি করছেন। এখন বলছেন, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এতদিন স্বীকার করেননি। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে। বিএনপিকে আগে বলেছি প্যাথোলজিক্যাল লায়ার, এখন বলছি পূর্ণ মিথ্যাবাদী।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক মন্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল কি চিকিৎসক? চিকিৎসকরা বলুক। কিভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনিত হয়েছে? কদিন আগে আমরা তাকে স্বাভাবিক দেখেছি। দৃশ্যত কোনও অবনতি দেখিনি। ভেতরে যদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে, তবে মেডিক্যাল বোর্ড দেখে বলুক। সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যে এলাকার নির্বাচন, সে এলাকার যারা ঢাকায় রয়েছেন, কেবল তারাই নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। অযথা ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে বিরক্ত করবেন না।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৩:৩৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
আওয়ামসী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারত সফরকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে দেশটির সরকার অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। প্রায় ৩২ মিনিট তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। কিন্তু ডিনার পার্টিতে ভারতের অনেকেই বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামীতেও ক্ষমতায় আসবে।’
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? তারা কি কখনও ক্ষমতায় বসিয়েছে? ২০০১ সালে আমরা হেরে গেছি। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে? ভারত এটা করে না। আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। কোনও বিদেশি শক্তি নয়।’
বিএনপি পূর্ণ মিথ্যাবাদী
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছেন, আমাদের কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছেন। আমরা দেশের জন্য জনগণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই সফরে শিক্ষা থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যু, কোনও কিছুই বাদ পড়েনি। দেশের জনগণের স্বার্থ তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, তিস্তাচুক্তি হলে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।’
তারেক রহমানের পাসপোর্ট সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির একেক নেতা একেক কথা বলছেন। খাদের কিনারে এসে লাফালাফি করছেন। এখন বলছেন, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এতদিন স্বীকার করেননি। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে। বিএনপিকে আগে বলেছি প্যাথোলজিক্যাল লায়ার, এখন বলছি পূর্ণ মিথ্যাবাদী।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক মন্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল কি চিকিৎসক? চিকিৎসকরা বলুক। কিভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনিত হয়েছে? কদিন আগে আমরা তাকে স্বাভাবিক দেখেছি। দৃশ্যত কোনও অবনতি দেখিনি। ভেতরে যদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে, তবে মেডিক্যাল বোর্ড দেখে বলুক। সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যে এলাকার নির্বাচন, সে এলাকার যারা ঢাকায় রয়েছেন, কেবল তারাই নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। অযথা ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে বিরক্ত করবেন না।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।