ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রীষ্মে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা

 স্বাস্থ্য ডেস্কঃ
চলছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের এ প্রচণ্ড গরমে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে বিভিন্ন অসুখে। বিশেষ করে প্রাণচঞ্চল বাচ্চারা সহজেই এ সময় আক্রান্ত হয়ে পড়ে অসুখে। এসব অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি কাশি, ডায়রিয়া, সামার বয়েল, ঘামাচি ইত্যাদি। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চললে সহজেই এসব সমস্যা থেকে শিশুদের রক্ষা করা যায়।
তীব্র গরমে শিশুরা সহজেই পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারে। যা থেকে সৃষ্টি হয় ডিহাইড্রেশন ফিভার। এতে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে। তবে শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখলে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করা সহজেই সম্ভব। পাশাপাশি প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। গরমে পানিশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত পানি পান করাতে হবে শিশুকে।
এ ছাড়া, ডাবের পানি, ঘরে তৈরি ফলের রস কিংবা ওরস্যালাইন দেয়া যেতে পারে। কোনোক্রমেই বাইরের খোলা শরবত খাওয়া উচিত নয়। শরীরে পানির অভাব হলে শিশু সহজেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাই শিশুর শরীরে পানির ভারসাম্যতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। এ ছাড়া, গরমে ঘামাচি কিংবা সামার বয়েলে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। গরমের এই সময়ে শিশুকে সবসময় সুতির পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে। এতে শিশুর শরীরের ঘাম বসে সর্দি লাগবে না।
এ ছাড়া, শিশুকে যতটা সম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখতে হবে এবং নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শিশুর ঘামাচিতে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সামার বয়েলে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। দুঃসহ এই গরমে শিশুর সঠিক যত্ন নিশ্চিত করতে পারলেই আপনার শিশু থাকবে প্রাণচঞ্চল ও সুস্থ।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

গ্রীষ্মে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা

আপডেট সময় ০৪:৫০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মে ২০১৮
 স্বাস্থ্য ডেস্কঃ
চলছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের এ প্রচণ্ড গরমে অধিকাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে বিভিন্ন অসুখে। বিশেষ করে প্রাণচঞ্চল বাচ্চারা সহজেই এ সময় আক্রান্ত হয়ে পড়ে অসুখে। এসব অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি কাশি, ডায়রিয়া, সামার বয়েল, ঘামাচি ইত্যাদি। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চললে সহজেই এসব সমস্যা থেকে শিশুদের রক্ষা করা যায়।
তীব্র গরমে শিশুরা সহজেই পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারে। যা থেকে সৃষ্টি হয় ডিহাইড্রেশন ফিভার। এতে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে। তবে শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখলে জ্বর নিয়ন্ত্রণ করা সহজেই সম্ভব। পাশাপাশি প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। গরমে পানিশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত পানি পান করাতে হবে শিশুকে।
এ ছাড়া, ডাবের পানি, ঘরে তৈরি ফলের রস কিংবা ওরস্যালাইন দেয়া যেতে পারে। কোনোক্রমেই বাইরের খোলা শরবত খাওয়া উচিত নয়। শরীরে পানির অভাব হলে শিশু সহজেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাই শিশুর শরীরে পানির ভারসাম্যতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। এ ছাড়া, গরমে ঘামাচি কিংবা সামার বয়েলে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। গরমের এই সময়ে শিশুকে সবসময় সুতির পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে। এতে শিশুর শরীরের ঘাম বসে সর্দি লাগবে না।
এ ছাড়া, শিশুকে যতটা সম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখতে হবে এবং নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শিশুর ঘামাচিতে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সামার বয়েলে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। দুঃসহ এই গরমে শিশুর সঠিক যত্ন নিশ্চিত করতে পারলেই আপনার শিশু থাকবে প্রাণচঞ্চল ও সুস্থ।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ