ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্যাটেলাইটের মালিকানা নিয়ে সন্দেহ ফখরুলের

জাতীয় ডেস্কঃ

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট-এর মালিকানা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এর মালিকানা ২ ব্যক্তির কাছে চলে গেছে। তবে ওই ২ ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ডা. সামীউল আলম সুধীনের উপর হামলায় প্রতিবাদে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব এই অনুষ্ঠানের আয়োজিন করে। প্রসঙ্গত আজ ভোররাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ ঘটে বাণিজ্যিক কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এর। মহাকাশে বাংলাদেশের এই সাফল্যে বিএনপির নীরবতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন তোলেন। এর জবাবেই এই মন্তব্য করেন ফখরুল।

বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, শেরে বাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া, এ্যাবের প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওটার (বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট) মালিকানা চলে গেছে, জানেন তো। এই স্যাটেলাইটের মালিকানা চলে গেছে দু‘জন লোকের হাতে এবং সেখান থেকে আপনাদেরকে কিনে নিতে হবে। তিনি বলেন, এটা আগে ঘুরক, আবর্তন করুক পৃথিবী, পরিক্রমা করুক, তখন দেখা যাবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে ফখরুল বলেন, ভারতের সঙ্গে ৫টি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের খবর গণমাধ্যমে দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই চুক্তি করার অধিকারটা তাকে (প্রধানমন্ত্রী) কে দিয়েছে? কারণ এই পার্লামেন্ট তো নির্বাচিত নয়। জনগণের পক্ষে যত চুক্তি করেন আপনি, সেই চুক্তি তো জনগণের চুক্তি নয়। তিনি আারও বলেন, সব চুক্তিগুলো আমরা দেখব। যেমন মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেছে, একটা লোকও (রোহিঙ্গা) যেতে পারেনি। যেটা আমার সবচেয়ে বেশি দরকার, সেই তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত হয়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যান না পাঁচ বছর নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক

স্যাটেলাইটের মালিকানা নিয়ে সন্দেহ ফখরুলের

আপডেট সময় ০৪:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মে ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট-এর মালিকানা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এর মালিকানা ২ ব্যক্তির কাছে চলে গেছে। তবে ওই ২ ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ডা. সামীউল আলম সুধীনের উপর হামলায় প্রতিবাদে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব এই অনুষ্ঠানের আয়োজিন করে। প্রসঙ্গত আজ ভোররাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ ঘটে বাণিজ্যিক কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এর। মহাকাশে বাংলাদেশের এই সাফল্যে বিএনপির নীরবতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন তোলেন। এর জবাবেই এই মন্তব্য করেন ফখরুল।

বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, শেরে বাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া, এ্যাবের প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওটার (বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট) মালিকানা চলে গেছে, জানেন তো। এই স্যাটেলাইটের মালিকানা চলে গেছে দু‘জন লোকের হাতে এবং সেখান থেকে আপনাদেরকে কিনে নিতে হবে। তিনি বলেন, এটা আগে ঘুরক, আবর্তন করুক পৃথিবী, পরিক্রমা করুক, তখন দেখা যাবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে ফখরুল বলেন, ভারতের সঙ্গে ৫টি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের খবর গণমাধ্যমে দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই চুক্তি করার অধিকারটা তাকে (প্রধানমন্ত্রী) কে দিয়েছে? কারণ এই পার্লামেন্ট তো নির্বাচিত নয়। জনগণের পক্ষে যত চুক্তি করেন আপনি, সেই চুক্তি তো জনগণের চুক্তি নয়। তিনি আারও বলেন, সব চুক্তিগুলো আমরা দেখব। যেমন মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেছে, একটা লোকও (রোহিঙ্গা) যেতে পারেনি। যেটা আমার সবচেয়ে বেশি দরকার, সেই তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত হয়নি।