ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তাদা জোটের বিজয়

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে শিয়া নেতা মুক্তাদা সদর জোট বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ঘোষণায় তার নেতৃত্বাধীন সায়িরুন জোটকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রার্থী না হওয়ায় সদর নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সরকারগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তার।

নির্বাচন কমিশন শনিবার জানিয়েছে, মুক্তাদা সদরের জোট জাতীয় সংসদের মোট ৫৪টি আসন পেয়েছে। এ জোট এই প্রথম ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েই বড় রকমের সফলতা পেল। গত শনিবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদির নেতৃত্বাধীন ভিক্টোরি জোট ৪২ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থান রয়েছে। আর সাবেক পরিবহনমন্ত্রী ও বাদ্র অর্গানাইজেশনের মহাসচিব হাদি আল-আমেরির নেতৃত্বাধীন কংকোয়েস্ট জোট ৪৭ আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

হাদি আল-আমেরির নেতৃত্বাধীন কংকোয়েস্ট জোটে শিয়ারা ছাড়াও রয়েছে খ্রিষ্টান ও সাম্যবাদী রাজনৈতিক শক্তি। এবারই তারা প্রথম নির্বাচনে অংশ নিল। জোটের ১৮টি রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়া পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সদস্য। গ্রুপের বড় একটা অংশ অস্ত্র জমা দিয়ে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে।

নতুন ধারার জাতীয়তাবাদী হিসেবে নিজের পরিচিতি দাঁড় করিয়েছেন মুক্তাদা আল সদর। শিয়া মুসলিমদের অন্যতম প্রধান তাত্ত্বিক প্রয়াত আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ সাদিক আল সদরের ছেলে তিনি। বিশ শতকের প্রথম দিকে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুক্তাদা। আস্তে আস্তে তার রাজনীতি ইরাকের দরিদ্র মানুষের প্রতি নিবিষ্ট হয়।

ব্রিটেনের এক্সাটার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাটেজি ও সিকিউরিটি ইনস্টিটিউটের ইরাক বিশেষজ্ঞ তালহা আবদুল রাজাক মনে করেন, সরকারের দুর্নীতির মাত্রা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সরব থেকেছেন সদর। আর তা শিয়া জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষকে আকৃষ্ট করেছে।

গত ১২ মে’র নির্বাচনে ইরাকে শীর্ষ রাজনীতিবিদরা বাগদাদের গ্রিন জোনে নিজেদের ভোট দিলেও আল সদর দরিদ্র অধ্যুষিত জেলা নাজাফের একটি স্কুলে তার ভোট দেন। আবদুল রাজাক বলেন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আল সদরের জোটও তার পক্ষে কাজে এসেছে। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিস্ট পার্টি অনেক সুসংগঠিত আর তা এই জোটকে সংহত করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তাদা জোটের বিজয়

আপডেট সময় ০৯:১০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মে ২০১৮
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে শিয়া নেতা মুক্তাদা সদর জোট বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ঘোষণায় তার নেতৃত্বাধীন সায়িরুন জোটকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রার্থী না হওয়ায় সদর নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সরকারগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তার।

নির্বাচন কমিশন শনিবার জানিয়েছে, মুক্তাদা সদরের জোট জাতীয় সংসদের মোট ৫৪টি আসন পেয়েছে। এ জোট এই প্রথম ইরাকের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েই বড় রকমের সফলতা পেল। গত শনিবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদির নেতৃত্বাধীন ভিক্টোরি জোট ৪২ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থান রয়েছে। আর সাবেক পরিবহনমন্ত্রী ও বাদ্র অর্গানাইজেশনের মহাসচিব হাদি আল-আমেরির নেতৃত্বাধীন কংকোয়েস্ট জোট ৪৭ আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

হাদি আল-আমেরির নেতৃত্বাধীন কংকোয়েস্ট জোটে শিয়ারা ছাড়াও রয়েছে খ্রিষ্টান ও সাম্যবাদী রাজনৈতিক শক্তি। এবারই তারা প্রথম নির্বাচনে অংশ নিল। জোটের ১৮টি রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়া পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সদস্য। গ্রুপের বড় একটা অংশ অস্ত্র জমা দিয়ে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে।

নতুন ধারার জাতীয়তাবাদী হিসেবে নিজের পরিচিতি দাঁড় করিয়েছেন মুক্তাদা আল সদর। শিয়া মুসলিমদের অন্যতম প্রধান তাত্ত্বিক প্রয়াত আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ সাদিক আল সদরের ছেলে তিনি। বিশ শতকের প্রথম দিকে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুক্তাদা। আস্তে আস্তে তার রাজনীতি ইরাকের দরিদ্র মানুষের প্রতি নিবিষ্ট হয়।

ব্রিটেনের এক্সাটার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাটেজি ও সিকিউরিটি ইনস্টিটিউটের ইরাক বিশেষজ্ঞ তালহা আবদুল রাজাক মনে করেন, সরকারের দুর্নীতির মাত্রা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সরব থেকেছেন সদর। আর তা শিয়া জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষকে আকৃষ্ট করেছে।

গত ১২ মে’র নির্বাচনে ইরাকে শীর্ষ রাজনীতিবিদরা বাগদাদের গ্রিন জোনে নিজেদের ভোট দিলেও আল সদর দরিদ্র অধ্যুষিত জেলা নাজাফের একটি স্কুলে তার ভোট দেন। আবদুল রাজাক বলেন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আল সদরের জোটও তার পক্ষে কাজে এসেছে। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিস্ট পার্টি অনেক সুসংগঠিত আর তা এই জোটকে সংহত করেছে।