ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেনা অভ্যুত্থানের হুমকি মিয়ানমারে!

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্ষুব্ধ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সু কি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা। এই ইস্যুতে সু কি জাতিসংঘে যে কথাবার্তা বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তা পছন্দ করছে না।

থাইল্যান্ডের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘ব্যাংকক পোস্টে’ শনিবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাখাইনে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফিরিয়ে আনার ইস্যুতে মিস সু কি এবং সেনাবাহিনীর সম্পর্ক বিপজ্জনক মোড় নিতে শুরু করেছে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাখাইনে হত্যা এবং নির্যাতনের তদন্ত সহ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনা নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে সাথে সু কি যে বোঝাপড়া করছে তা নিয়ে সেনাবাহিনী সন্দিহান। বিশেষ করে তদন্ত কমিটিতে একজন বিদেশী বিশেষজ্ঞ রাখার বিষয় নিয়ে তীব্র আপত্তি করছে সেনাবাহিনী।

এক উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার জানিয়েছেন, ‘সু কি এবং জেনারেল মিন অং লেনের মধ্যে এক বৈঠকে অত্যন্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এমনকি অভ্যুত্থানেরও হুমকি দেন সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধান বলেন, আপনি যদি সরকার চালাতে না পারেন, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ফিরিয়ে নেবে।’

তবে, সেনাপ্রধান কি পুরো দেশের ক্ষমতা নেওয়ার কথা বলেছেন নাকি শুধু রাখাইনের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, সেনাবাহিনী যদি মনে করে দেশে বা দেশের কোনও অঞ্চলে নিরাপত্তার হুমকি তৈরি হয়েছে, তাহলে তারা পুরো দেশের বা ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রশাসন চালানোর অধিকার নিয়ে নিতে পারবে।

ব্যাংকক পোস্ট বলছে, বৈঠকটি হঠাৎ করে শেষ হওয়ার পর মিস সু কি-র বেসামরিক প্রশাসন এবং সেনাপ্রধান পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেনা অভ্যুত্থানের হুমকি মিয়ানমারে!

আপডেট সময় ০৩:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন ২০১৮
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্ষুব্ধ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সু কি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা। এই ইস্যুতে সু কি জাতিসংঘে যে কথাবার্তা বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তা পছন্দ করছে না।

থাইল্যান্ডের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘ব্যাংকক পোস্টে’ শনিবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাখাইনে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফিরিয়ে আনার ইস্যুতে মিস সু কি এবং সেনাবাহিনীর সম্পর্ক বিপজ্জনক মোড় নিতে শুরু করেছে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাখাইনে হত্যা এবং নির্যাতনের তদন্ত সহ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনা নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে সাথে সু কি যে বোঝাপড়া করছে তা নিয়ে সেনাবাহিনী সন্দিহান। বিশেষ করে তদন্ত কমিটিতে একজন বিদেশী বিশেষজ্ঞ রাখার বিষয় নিয়ে তীব্র আপত্তি করছে সেনাবাহিনী।

এক উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার জানিয়েছেন, ‘সু কি এবং জেনারেল মিন অং লেনের মধ্যে এক বৈঠকে অত্যন্ত উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এমনকি অভ্যুত্থানেরও হুমকি দেন সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধান বলেন, আপনি যদি সরকার চালাতে না পারেন, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ফিরিয়ে নেবে।’

তবে, সেনাপ্রধান কি পুরো দেশের ক্ষমতা নেওয়ার কথা বলেছেন নাকি শুধু রাখাইনের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, সেনাবাহিনী যদি মনে করে দেশে বা দেশের কোনও অঞ্চলে নিরাপত্তার হুমকি তৈরি হয়েছে, তাহলে তারা পুরো দেশের বা ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রশাসন চালানোর অধিকার নিয়ে নিতে পারবে।

ব্যাংকক পোস্ট বলছে, বৈঠকটি হঠাৎ করে শেষ হওয়ার পর মিস সু কি-র বেসামরিক প্রশাসন এবং সেনাপ্রধান পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।