ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিঠুনপুত্রের ভাঙা বিয়ে আজ

বিনোদন ডেস্কঃ

গত ৭ জুলাই মাদালসা শর্মার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর। সে অনুযায়ী বিয়ের আসরও বসেছিল তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার উধগমন্ডলমে মিঠুনের মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে। কিন্তু মিমোর বিরুদ্ধে করা এক নারীর ধর্ষণের মামলার ভিত্তিতে বিয়ের দিনেই সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে হানা দেয় পুলিশের তদন্তকারী একটি দল। ভেঙে যায় বিয়ে, ফিরে যান কনেপক্ষ।

অবশেষে সেই বিয়ে হতে চলেছে আজ। ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ার খবর বলছে, মঙ্গলবার উটির একটি হোটেলে ঘনিষ্ঠজনের উপস্থিতিতেই শুভকাজটি সেরে ফেলবেন মিমো ও মাদালসা শর্মা। এর আগে আইনি ঝামেলায় বিয়েবাড়ি থেকে পাত্রীপক্ষ চলে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছিল মিঠুনের পরিবারের৷ সেই চিন্তা কিছুটা হলেও কমতে চলেছে। তবে পুলিশ বলেছে, তারা এ মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে।

সম্প্রতি মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। ওই নারীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত চার বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রেখেছেন মিমো। গত সপ্তাহের সোমবার দিল্লির রোহিণী আদালতে মিমোর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। আদালতের নির্দেশে পরে এফআইআর দায়ের করা হয়।  এ মামলায় শুধু মহাক্ষয়ই নয়, অভিযোগ দায়ের হয় তার মা অর্থাৎ মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধেও। তার বিরুদ্ধে জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগকারী নারী পুলিশকে জানান, ২০১৫ সাল থেকে মহাক্ষয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক। একদিন কোমল পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তাকে অচেতন করেন মিমো। পরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন জানার পর ওষুধ দিয়ে তরুণীর বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেন মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি। মা-ছেলে নাকি তাকে মৃত্যুর ভয়ও দেখান। এর পরই তিনি ভয়ে মুম্বাই থেকে দিল্লি চলে যান এবং রোহিণী থানায় মিমোদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

দিল্লির রোহিণী আদালত জানায়, মিমো ও যোগিতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আছে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারি এড়াতে গত বৃহস্পতিবার বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিমো ও তার মা যোগিতা বালি। সেই আর্জি খারিজ করে বিচারপতি জানান, এ বিষয়ে দিল্লির সংশ্লিষ্ট আদালতে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। পরে দিল্লির আদালত এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মা-ছেলের জামিন দেয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মিঠুনপুত্রের ভাঙা বিয়ে আজ

আপডেট সময় ০৪:১৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮
বিনোদন ডেস্কঃ

গত ৭ জুলাই মাদালসা শর্মার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর। সে অনুযায়ী বিয়ের আসরও বসেছিল তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার উধগমন্ডলমে মিঠুনের মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে। কিন্তু মিমোর বিরুদ্ধে করা এক নারীর ধর্ষণের মামলার ভিত্তিতে বিয়ের দিনেই সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে হানা দেয় পুলিশের তদন্তকারী একটি দল। ভেঙে যায় বিয়ে, ফিরে যান কনেপক্ষ।

অবশেষে সেই বিয়ে হতে চলেছে আজ। ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ার খবর বলছে, মঙ্গলবার উটির একটি হোটেলে ঘনিষ্ঠজনের উপস্থিতিতেই শুভকাজটি সেরে ফেলবেন মিমো ও মাদালসা শর্মা। এর আগে আইনি ঝামেলায় বিয়েবাড়ি থেকে পাত্রীপক্ষ চলে যাওয়ায় চিন্তা বেড়েছিল মিঠুনের পরিবারের৷ সেই চিন্তা কিছুটা হলেও কমতে চলেছে। তবে পুলিশ বলেছে, তারা এ মামলার তদন্ত চালিয়ে যাবে।

সম্প্রতি মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। ওই নারীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত চার বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রেখেছেন মিমো। গত সপ্তাহের সোমবার দিল্লির রোহিণী আদালতে মিমোর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। আদালতের নির্দেশে পরে এফআইআর দায়ের করা হয়।  এ মামলায় শুধু মহাক্ষয়ই নয়, অভিযোগ দায়ের হয় তার মা অর্থাৎ মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধেও। তার বিরুদ্ধে জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগকারী নারী পুলিশকে জানান, ২০১৫ সাল থেকে মহাক্ষয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক। একদিন কোমল পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তাকে অচেতন করেন মিমো। পরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন জানার পর ওষুধ দিয়ে তরুণীর বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেন মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি। মা-ছেলে নাকি তাকে মৃত্যুর ভয়ও দেখান। এর পরই তিনি ভয়ে মুম্বাই থেকে দিল্লি চলে যান এবং রোহিণী থানায় মিমোদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

দিল্লির রোহিণী আদালত জানায়, মিমো ও যোগিতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আছে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারি এড়াতে গত বৃহস্পতিবার বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিমো ও তার মা যোগিতা বালি। সেই আর্জি খারিজ করে বিচারপতি জানান, এ বিষয়ে দিল্লির সংশ্লিষ্ট আদালতে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। পরে দিল্লির আদালত এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মা-ছেলের জামিন দেয়।