ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে শান রাজ্যে সংঘর্ষে ১২ সৈন্যসহ নিহত ১৩

 অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মিয়ানমারের শান রাজ্যে মংকুং শহরে সপ্তাহজুরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের ১২ জনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্য। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি।
চলতি সপ্তাহে রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী রিস্টোরেশন কাউন্সিল অব শান স্টেট (আরসিএসএস) ও মিয়ানমার বাহিনীর মধ্যেকার সংঘর্ষে এই আহত-নিহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের মতোই গত চারদিনের লড়াইয়ে রাজ্যের মং কুং এলাকায় গত চারদিনে গ্রাম ছেড়েছেন শত শত মানুষ। আরসিএসএস এক বিজ্ঞপ্তিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ড্রোন ও আর্টিলারি সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি করে। আরসিএসএসের মুখপাত্র লে. কর্নেল সাই ওও এই সংঘর্ষে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষে হতাহতের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের স্থলবাহিনীর দেয়া তথ্যের সঙ্গে তাই ফ্রিডমের তথ্যের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে সংঘর্ষে তার দলের এক সৈন্য নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাই ওও।
তিনি জানান, গত ৯ জুলাই থেকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে।
আরসিএসএসের তথ্য শাখা হিসেবে কাজ করে তাই ফ্রিডম। মং কুংয়ে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে তাই ফ্রিডম। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছিনিয়ে নেয়া অস্ত্রের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
তাই ফ্রিডমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মং কুং এলাকার আকাশে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। তবে সেনা হেলিকপ্টার থেকে শুধুমাত্র সংঘর্ষপ্রবণ এলাকায় টহল দেয়া হচ্ছে এবং আরসিএসএসের অবস্থানে গোলাবর্ষণ করা থেকে বিরত রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।’
সংঘর্ষপ্রবণ এলাকা থেকে স্থানীয় জাতিগত শান গোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রাম ছেড়ে পালানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শানদের এই গ্রামগুলোর অবস্থান মং কুং শহর থেকে ১০ মাইল দূরে। স্থানীয় দাতাগোষ্ঠীগুলো গৃহহীণ মানুষকে মং কুং শহরের বৌদ্ধ মন্দিরে আশ্রয় দিয়েছে। ইরাবতী।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

মিয়ানমারে শান রাজ্যে সংঘর্ষে ১২ সৈন্যসহ নিহত ১৩

আপডেট সময় ০৩:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮
 অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মিয়ানমারের শান রাজ্যে মংকুং শহরে সপ্তাহজুরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের ১২ জনই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্য। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি।
চলতি সপ্তাহে রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী রিস্টোরেশন কাউন্সিল অব শান স্টেট (আরসিএসএস) ও মিয়ানমার বাহিনীর মধ্যেকার সংঘর্ষে এই আহত-নিহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের মতোই গত চারদিনের লড়াইয়ে রাজ্যের মং কুং এলাকায় গত চারদিনে গ্রাম ছেড়েছেন শত শত মানুষ। আরসিএসএস এক বিজ্ঞপ্তিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ড্রোন ও আর্টিলারি সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি করে। আরসিএসএসের মুখপাত্র লে. কর্নেল সাই ওও এই সংঘর্ষে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষে হতাহতের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের স্থলবাহিনীর দেয়া তথ্যের সঙ্গে তাই ফ্রিডমের তথ্যের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে সংঘর্ষে তার দলের এক সৈন্য নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাই ওও।
তিনি জানান, গত ৯ জুলাই থেকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে।
আরসিএসএসের তথ্য শাখা হিসেবে কাজ করে তাই ফ্রিডম। মং কুংয়ে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে তাই ফ্রিডম। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছিনিয়ে নেয়া অস্ত্রের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
তাই ফ্রিডমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মং কুং এলাকার আকাশে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। তবে সেনা হেলিকপ্টার থেকে শুধুমাত্র সংঘর্ষপ্রবণ এলাকায় টহল দেয়া হচ্ছে এবং আরসিএসএসের অবস্থানে গোলাবর্ষণ করা থেকে বিরত রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।’
সংঘর্ষপ্রবণ এলাকা থেকে স্থানীয় জাতিগত শান গোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রাম ছেড়ে পালানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শানদের এই গ্রামগুলোর অবস্থান মং কুং শহর থেকে ১০ মাইল দূরে। স্থানীয় দাতাগোষ্ঠীগুলো গৃহহীণ মানুষকে মং কুং শহরের বৌদ্ধ মন্দিরে আশ্রয় দিয়েছে। ইরাবতী।