আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
দিল্লির বুরারির গণআত্মহত্যার ঘটনার স্মৃতি এখনও তরতাজা। এরই মধ্যে আরও একটা গণআত্মহত্যার খবর। এবার তা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ২ শিশু-সহ পরিবারের ৬ জনের মৃতদেহ।
বুরারির ঘটনায় একই ঘর থেকে মিলেছিল ১১টা মৃতদেহ। একইরকমভাবে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের মুঙ্গা বাগিচা এলাকার একটি বাড়ি থেকে রবিবার সকালে মিলল একই পরিবারের ৬জনের দেহ – দুই পুরুষ, দুই মহিলা ও দুই শিশু। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ঋণে জর্জরিত হয়ে যাওয়ায় গত রাতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই পরিবার।
ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সুইসাইড নোট ও একটি পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতরা হলেন নরেশ আগরওয়াল, মহাবীর মাহেশ্বরী, কিরণ আগরওয়াল, প্রীতি আগরওয়াল, অনভি আগরওয়াল ও আমান আগরওয়াল।
হাজারিবাগের ডিএসপি চন্দন ভাটস জানিয়েছেন, ‘ওঁরা একটি নোটে লিখেছিলেন যে, তাঁদের ছেলে আমানকে ঝোলাতে না-পেরে তাঁরা তাকে মেরে ফেলেছিল।’
নরেশ সবশেষে অ্যাপার্টমেন্টের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দুই জনের দেহ। একজনকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। শিশুকন্যা অনভিকে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে। আর আমানের গলার নলি কাটা ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে খয়েরি রঙের একটি ইনভেলাপ। তাতেই লেখা ছিল সুইসাইড নোট। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, অসুস্থ শরীর, ব্যবসার ক্ষতি, অপমান, ঋণের কারণেই মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছে ওই পরিবার।
সুইসাইড নোটটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আত্মহত্যা না খুন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেন্সিক টিম।
সূত্র: এই সময়