ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন, সরকারের পদত্যাগ দাবি ফখরুলের

জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানাই। পরিবহনখাতে ভয়াবহ কাণ্ড চলছে, পাশবিক অত্যাচার নির্যাতন চলছে। সে কারণেই যার যা খুশি করছে। মনে হচ্ছে সরকার বলে কোনো কিছু নেই, এটা একটা পুরোপুরি ব্যর্থ সরকার। গত কয়েকদিনের ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা শুধু নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর (ওবায়দুল কাদের) পদত্যাগই দাবি করছি না; আমরা এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে দেশে একের পর এক অঘটন ঘটলেও এ সরকার তা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণকে এই সরকারের পতন আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অভিনব। ছাত্রদের অভিনব আন্দোলনে সরকার নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর শাজাহান খান যা বলেছেন, এটা কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না।
মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, সড়ক মন্ত্রী কি দায় অস্বীকার করতে পারেন? কেন কোনো ম্যানেজমেন্ট নেই? ট্রাফিকের সিস্টেম নেই? এসবের জন্য সরকারকে দায়ী করছি এবং অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশের সব জায়গায় অরাজকতা চলছে। সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতারক সরকার সব প্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন একেবারেই শেষ। তারা যেভাবে পারে বিরোধী মতকে দমন করছে। এ বিষয়গুলো জনগণের জানা আছে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ডাইভার্ট করার জন্য, আবার জিয়াউর রহমানের দিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় জিয়াউর রহমানের বিচারটা তিনি করে যেতে পারলেন না।
ফখরুল বলেন, কোথাও আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি, এই ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত এবং মজিব হত্যার যে বিচার হয়ে গেল সেই বিচারে সমস্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে কোথাও কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণে জিয়াউর রহমানের নাম নেই। সরকারের এই বিষয়টা সামনে আনার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই বিষয়কে (শিক্ষার্থীদের আন্দোলন) ডাইভার্ট করা।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষেরও প্রশ্ন থাকতে পারে, আপনি বিদেশ থেকে ফিরে আসার ১৭ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমানকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই এইসব বিষয় খুঁজতে গেলে আপনাদের কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে যেতে পারে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনা করবে, আমাদের সেই সন্তানেরা যা করেছে, যেভাবে গাড়ি চালকদের লাইসেন্স দেখেছে তাকে সমর্থন জানাই। আমরা যেটা পারিনি তারা সেটা পেরেছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন, সরকারের পদত্যাগ দাবি ফখরুলের

আপডেট সময় ০৩:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানাই। পরিবহনখাতে ভয়াবহ কাণ্ড চলছে, পাশবিক অত্যাচার নির্যাতন চলছে। সে কারণেই যার যা খুশি করছে। মনে হচ্ছে সরকার বলে কোনো কিছু নেই, এটা একটা পুরোপুরি ব্যর্থ সরকার। গত কয়েকদিনের ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা শুধু নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর (ওবায়দুল কাদের) পদত্যাগই দাবি করছি না; আমরা এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে দেশে একের পর এক অঘটন ঘটলেও এ সরকার তা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণকে এই সরকারের পতন আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অভিনব। ছাত্রদের অভিনব আন্দোলনে সরকার নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর শাজাহান খান যা বলেছেন, এটা কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না।
মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, সড়ক মন্ত্রী কি দায় অস্বীকার করতে পারেন? কেন কোনো ম্যানেজমেন্ট নেই? ট্রাফিকের সিস্টেম নেই? এসবের জন্য সরকারকে দায়ী করছি এবং অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশের সব জায়গায় অরাজকতা চলছে। সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতারক সরকার সব প্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন একেবারেই শেষ। তারা যেভাবে পারে বিরোধী মতকে দমন করছে। এ বিষয়গুলো জনগণের জানা আছে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ডাইভার্ট করার জন্য, আবার জিয়াউর রহমানের দিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় জিয়াউর রহমানের বিচারটা তিনি করে যেতে পারলেন না।
ফখরুল বলেন, কোথাও আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি, এই ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত এবং মজিব হত্যার যে বিচার হয়ে গেল সেই বিচারে সমস্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে কোথাও কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণে জিয়াউর রহমানের নাম নেই। সরকারের এই বিষয়টা সামনে আনার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই বিষয়কে (শিক্ষার্থীদের আন্দোলন) ডাইভার্ট করা।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষেরও প্রশ্ন থাকতে পারে, আপনি বিদেশ থেকে ফিরে আসার ১৭ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমানকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই এইসব বিষয় খুঁজতে গেলে আপনাদের কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে যেতে পারে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনা করবে, আমাদের সেই সন্তানেরা যা করেছে, যেভাবে গাড়ি চালকদের লাইসেন্স দেখেছে তাকে সমর্থন জানাই। আমরা যেটা পারিনি তারা সেটা পেরেছে।